একজন মুসলিমকেই গুরুভাই মানতেন যোগী!

যোগী এবং বাপু গুলাবনাথের সম্পর্ক এতটাই ভাল ছিল যে নিয়মিত ফোন করে বাপুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেন উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী।

কট্টর হিন্দু নেতা হিসেবেই তাঁকে চেনে গোটা দেশ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে রাম মন্দির তৈরির স্বপ্ন দেখছে আরএসএস। উত্তর প্রদেশের কসাইখানাগুলির ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার অবস্থা। এহেন যোগী আদিত্যনাথের গুরুভাই ছিলেন একজন মুসলিম।

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, গুজরাতের ভিসনাগরের নাথ সম্প্রদায়ের একটি মঠের প্রাক্তন মহন্ত গোপী গুলাবনাথ বাপু জন্মসূত্রে একজন মুসলিম ছিলেন। তাঁর আসল নাম গুল মহম্মদ পাঠান। এই মহন্তই যোগী আদিত্যনাথের গুরুভাই ছিলেন।

গুলাবনাথ বাপু মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও ১৮ বছর বয়সে মহন্ত বালকনাথেক সংস্পর্শে আসেন তিনি। মহন্তের কাজকর্ম দেখে তাঁর প্রতি অনুগত হয়ে পড়েন তিনি। এর পরেই ওই মহন্তের থেকে দীক্ষা নেনে গুলাবনাথ বাপু। পরবর্তীকালে যিনি হয়ে ওঠেন উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গুরুভাই।

যোগী আদিত্যনাথের যিনি গুরু, গোরক্ষপুর মঠের সেই মহন্ত অভৈদ্যনাথকেও নিজের গুরু হিসেবে মানতেন গুলাবনাথ বাপু। সেই সূত্রেই যোগী আদিত্যনাথ হয়ে ওঠেন তাঁর গুরুভাই। গুলাবনাথ বাপুর সঙ্গে যোগীর এতটাই নিবিড় সম্পর্ক ছিলে যে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ৮৬ বছর বয়সে গুলাবনাথ প্রয়াত হলে তাঁর শেষকৃত্য করতে গুজরাতের ভিসনাগরে গিয়েছিলেন যোগী। গুলাবনাথ বাপুর প্রয়াণের পরে ওই মঠের নতুন মহন্ত হিসেবে যোগী আদিত্যনাথকেই নির্বাচিত করা হয়।
ভিনসাগর মঠের বর্তমান মহন্ত জানিয়েছেন, নাথ সম্প্রদায়ের বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের সূত্রেই গোরক্ষপুর মঠ এবং যোগী আদিত্যনাথের গুরু মহন্ত অভৈদ্যনাথের সঙ্গে দীর্ঘদিনের যোগাযোগ ছিল গুলাবনাথ বাপুর। বাপু যেহেতু অভৈদ্যনাথকে গুরু মানতেন, তাই যোগী আদিত্যনাথকে তিনি গুরুভাই হিসেবে মানতেন।

যোগী এবং বাপু গুলাবনাথের সম্পর্ক এতটাই ভাল ছিল যে নিয়মিত ফোন করে বাপুর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতেন উত্তর প্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। গোরক্ষপুর মঠে বড় কোনও অনুষ্ঠান হলেই সেখানে যেতেন গুলাবনাথ বাপু। গতবছর গোরক্ষপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে নিজের গুরুভাইয়ের সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেছিলেন যোগী।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই