ঋণ কেলেঙ্কারি : রিমান্ডে বেসিক ব্যাংকের ৪ কর্মকতা

বেসিক ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপকসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ৭ দিন রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশীদ আলম।

বিচারক তার আদেশে বেসিক ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ইকরামুল বারীকে মতিঝিল থানার ৫২(৯)১৫ মামলায় ৩ দিন এবং তিন ব্যবসায়ীর মধ্যে ভয়েজ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাসিবুল গনিকে মতিঝিল থানার ৩৭(৯)১৫, ৪৫(৯)১৫, ৫৩(৯)১৫ ও ৫৮(৯)১৫ নম্বর মামলায় চারদিন করে ১৬ দিন, গুলশান থানার ৫৬(৯)১৫ নম্বর মামলায় এশিয়ান শিপিং বিডির মালিক মো. আকবর হোসেনকে ৩দিন এবং ফার্সি ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়েজুন্নবী চৌধুরীকে ৪০(৯)১৫ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক ইব্রাহিম এবং উপ-পরিচালক জয়নাল আবেদীন আসামিদের ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

ওইদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন আসামিদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দিন ধার্য করেন।

গত ২৭ মার্চ রাত থেকে ২৮ মার্চ সকাল পর্যন্ত দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর গুলশান, উত্তরা ও ধানমন্ডিতে অভিযান চালিয়ে রিমান্ডপ্রাপ্তদের গ্রেপ্তার করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোট ৫৪টি মামলার অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রথমে এই ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে। কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অস্তিত্বহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদন দুদকে অভিযোগ আকারে পাঠানো হয়।

এসব মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম, ডিএমডি মো. সেলিম, ডিজিএম এমদাদুল হক, ফজলুস সোবহান, প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটির সদস্য সচিব এ মোনায়েম খান, ডিএমডি কনক কুমার পুরকায়স্থ, ক্রেডিট কমিটির জিএম মো. মনিরুজ্জামান ও শাহ আলম ভূঁইয়া, ডিজিএম খান ইকবাল হাসান, জিএম মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জামান এবং ঋণ গ্রহণকারী ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই