কলারোয়ায় উপ-নির্বাচন

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দু’প্রার্থীর লড়াই!

কামরুল হাসান, কলারোয়া : আগামী সোমবার কলারোয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে তেমন সাড়া না মিললেও দু’প্রার্থীই ভোটারদের নিজ নিজ পক্ষে টানার প্রাণান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

তবে প্রথম দিকে নির্বাচনকে ঘিরে তেমন কোন উৎসবের আবহ সৃষ্টি না হলেও শেষ মূহুর্তে এই উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিরাজ করছে এক ধরণের উৎসব আমেজ। নির্বাচনী পথসভা ও মতবিনিময় সভাগুলোতে দেখা গেছে দু’প্রার্থীর সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। উপজেলার ৬৭ টি ওয়ার্ডে বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রগুলোর আশ পাশ ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের টাঙ্গানো পোষ্টার আর ব্যানারে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাইকে প্রচার প্রচারণায় মুখোরিত ছিলো গোটা উপজেলাব্যাপি। যা শেষ হলো শনিবার রাতে।

সার্বক্ষণিক প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করেছেন ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে। ১ লাখ ৮২ হাজার ২শ’ ২৯জন ভোটারের সরাসরি ভোটে কে হবেন উপজেলার সৌভাগ্যবান ভাইস চেয়ারম্যান সেটা জানতে আর মাত্র একটি দিনের অপেক্ষা। জয় পরাজয় থাকবেই তবুও বসে নেই কেউ, জয়ের ব্যাপারে অশাবাদি দু’প্রার্থীই। তাইতো ভোটারদের মন জয় করতে রাত দিনের ব্যবধান ভুলে ভোট প্রার্থনা করে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী।

তাদের একজন হলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্র্থী জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত হোসেন (নৌকা প্রতীক) ও অপরাজন একই ঘরানার উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি তরুণ যুবনেতা কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা (উড়োজাহাজ প্রতীক)।

ভোটের ব্যাপারে আ.লীগ দলীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, গত পৌর নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে তিনি মাঠ ছাড়েননি। আজও পর্যন্ত এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে তিনি পাশে আছেন এবং থাকবেন। কলারোয়া উপজেলার মানুষ অবহেলিত, তাই এ অবহেলিত উপজেলাবাসী আগামী ৬ মার্চ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। আর ভোটাররা স্বাধীন ভাবে ভোটের মাঠে গিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে পারলে তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ প্রকাশ করেন।

এদিকে, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী যুুবলীগ সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদা বলেন, কলারোয়া উপজেলার অনেক এলাকায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, সুপেয় পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই, উপজেলার অধিকাংশ এলাকা এখনও জলাবদ্ধ থাকে। এলাকায় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি ঢোকার মত কোন ভাল রাস্তা নেই, নেই কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।

এই অবহেলিত উপজেলাকে তিনি মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিতে চান। তাই উপজেলাবাসী আগামী ৬ মার্চ সুষ্ঠু নির্বাচনে তাঁকে উড়োজাহাজ মার্র্কায় ভোট দিয়ে জয়ের মালা পরাবেন বলে তিনিও শতভাগ আশাবাদী।

এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। আর শান্তিরপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক শেখ। তবে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কে হবেন সেই সৌভাগ্যবান ভাইস চেয়ারম্যান, সেটি দেখার জন্য আর একটু অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।



মন্তব্য চালু নেই