উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষকদের কেন নিয়োগ নয়

রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের কেন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে এবং আদালতের রায় পালন না করায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবসহ সাত জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এম নুরুজ্জামান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মেজবাহ উল আলম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.আলমগীর, পরিচালক(পলিসি এন্ড অপারেশন) মো.আনোয়ারুল হক, উপ সচিব নুজহাত ইয়াসমিন, নওগাঁ জেলার ডিসি ড.আমিনুর রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।

আইনজীবীর মাধ্যমে জানা যায়, এর আগে২০১০ সালের ১১ এপ্রিল রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তির ৩ নম্বর শর্তে উপজেলা ভিত্তিক নিয়োগের কথা বলা হয়। পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল উত্তীণ ৪২ হাজার ৬১১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এর কয়েকদিন আগে ২০১২ সালের ২১ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর এক পরিপত্রে উপজেলা ভিত্তিক নয়, ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োগের কথা জানায়।

এরপর বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১০ হাজার জনকে নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয়। নিয়োগ বঞ্চিতদের মধ্যে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার দশজন ইউনিয়ন ভিত্তিকনি য়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। এ আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৮ জুন তাদের নিয়োগ দিতে নিদেশ দিয়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত অবৈধঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টর এ আদেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ অন্যরা আপিল করলে চলতি বছরের ৭ মে তাখারিজ করেন আপিল বিভাগ। কিন্তু উচ্চ আদালতের এ নির্দেশনা পালন না করায় বুধবার সাত জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমানার অভিযোগ দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই