ঈশ্বর ও আল্লাহর নামে শপথ নিলেন মমতা

লক্ষাধিক জনতাকে সাক্ষী রেখে ঈশ্বর ও আল্লাহর নামে শপথ নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশস্ত রেডরোডের মুক্তমঞ্চে দেশ বিদেশের কয়েক হাজার অতিথির সামনে শুক্রবার ঠিক বেলা পৌনে একটায় দ্বিতীযবারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।

রাজ্যের গভর্নর কেশরীনাথ ত্রিপাটি এদিন শপথবাক্য পাঠ করান। তার সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ২৮ জন কেবিনেট মন্ত্রী, ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী।

মমতার নির্দেশে এদিন সব মন্ত্রীই ধূতি পাঞ্জাবি ও পায়াজামা পাঞ্জাবি পরে শপথ নিতে এসেছিলেন। দুই একজন বাদে সবাই বাংলাতেই শপথ নেন।

এবারের মন্ত্রিসভায় ৭জন মুসলিম, ১জন খ্রিষ্টান ও চারজন আধিবাসী প্রতিনিধি জায়গা পেয়েছেন। মমতাকে নিয়ে ৫ জন নালী প্রতিনিধি রয়েছেন।

প্রথা ভেঙে রাজভবনের চৌহদ্দির বাইরে বেরিয়ে এসে এবারই প্রথম রাজপথে শপথ নিয়ে নতুন নজির তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্ণময় এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কেন্দ্রীয সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশকুমার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

ভারতের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, ডিএমকের কানিমোঝি, ন্যাশানাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ।

ভারতের প্রখ্যাত শিল্পপতিরাও মমতার শপথ অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন। টলিউডের তারকা সমাবেশে অনুষ্ঠান স্থল চাদের হাটে পরিণত হয়েছিল।

তবে মমতার এই ঐতিহাসিক শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না রাজ্যেও কোনো বিরোধী দল। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অভিযোগে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেন।

বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও রাজ্যেও বিজেপি নেতারা অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন। বরং তারা এদিন রাজ্যজুড়ে সহিংসতার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছেন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্রায় ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা নবান্নে যান। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানানো হয়।

পুষ্পবৃষ্টির মধ্যদিয়ে মমতা নবান্নের চৌদ্দতলায় নতুন করে সাজানো তার ঘরে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার জন্য হাজির হন। বিকেলে তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক করবেন। সেখানেই সম্ভবত দায়িত্ব বণ্টন করার কাজটি করা হবে ।



মন্তব্য চালু নেই