ঈদে মহাসড়কে দুর্ভোগ লাগবে কঠোর হুঁশিয়ারি

আগামী ঈদে মহাসড়কে দুর্ভোগ দেখতে চাইনা বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, এখন গ্রীষ্মকাল, তারপর বর্ষা এবং বর্ষা শেষ হতে না হতেই হবে ঈদুল ফিতর। যে কারণে মহাসড়কগুলো আগে থেকেই কোথাও মেরামত বা সংস্কার করা লাগলে এখনি করতে হবে। এবার ঈদের আগে কোনো প্রস্তুতি মিটিং করা হবে না বলে কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন তিনি।

শুক্রবার সকালে বিয়াম মিলনায়তনে সড়ক পরিবহণ বিষয়ে এক বিশেষ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছরের মতো এবার সড়ক নিয়ে কোনো বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে চায় না। যে কারণে যা করার এখনি করতে হবে। ঈদে এই নিয়ে কোনো কর্মযজ্ঞ রাখা হবে না।

মন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় সড়ক নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থার দরকার নেই। কোনো প্রস্তুতি মিটিংও করতে চাই না। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলতে পারে না। সারা বছর সড়ক ভালো থাকবে এটাই চাই। কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে গাফিলতি করলে তার ফল ভালো হবে না।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে মহাসড়কে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে জেলা সড়কগুলোতে সমস্যা আছে, ঈদের আগে তা সংস্কার করতেই হবে। এজন্য সরকারের কাছ থেকে বিশেষ বরাদ্দ নেওয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটিসিতে এখনো চরম দুর্নীতি বিরাজমান, ডিপোতে যা হচ্ছে তার খবর রাখতে হবে বিআরটিসির চেয়ারম্যানকে। দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিআরটিসির বাসগুলোর সেবার মান চরম খারাপ। বিআরটিসির বাসে ময়লা আবর্জনা , নোংড়া থাকে, ফ্যান ভালো থাকে না, লাইট জ্বলে না। তাহলে ওই গাড়িতে যাত্রীরা উঠবে কেন ? কেন বছর ধরে যাত্রীদের এই অভিযোগ শুনতে হবে। যারা দায়িত্বে আছেন , তারা চেয়ারে বসে শুধু টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এটা ছাড়ুন, মানুষকে সেবা দিন। সরকার কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতি মেনে নেবে না।

মন্ত্রী দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, এখনো সময় আছে মানসিকতা বদলান। নয়তো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে নিজের স্বার্থ না দেখে দেশের স্বার্থ দেখেন, মানুষের সেবা করুন।

তিনি বলেন, তার দফতরে যত দুর্নীতি হচ্ছে, বাসে, রাস্তা ঘাটে ময়লা আর্জনা রয়েছে, হয়রানি রয়েছে তা নিয়ে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না। এটা বন্ধ করুন। নির্বাচনের সময় এলে সরকার দুর্বল হবে এটা ভাবার দরকার নেই। সরকার শক্তহাতে এসব দমন করবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই তাকে বলেছেন, স্কুল কলেজ এবং হাসপাতালের সামনে অযথা তীব্র শব্দে গাড়ী চালকরা হর্ণ বাজান। অযথা হর্ণ বাজান রাস্তার যেখানে সেখানে। এটা বন্ধ করতে বিআরটিএ এবং বিআরটিসির সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়রানি বন্ধ করে বিআরটিসিকে একটি আধুনিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, তাহলেই সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত হবে।

বিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই