ইসি ও পিএসসির বৈষম্য নিরসন হবে : আশরাফ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কমকর্তাদের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য নিরসন করে দুই কমিশনের কর্মকর্তাদের মর্যাদা এক করার উদ্যোগ নেবে সরকার। পাশাপাশি দুই কমিশনের সুযোগ-সুবিধা সমান করার জন্যও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দেবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার পিএসসির একটি কর্মশালায় এ তথ্য জানান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি ভবনে ‘উন্নয়ন ভাবনা ও জনপ্রশাসনে নিয়োগ’ শীর্ষক এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কমিশনার এবং পিএসসির সদস্যদের মধ্যকার বৈষম্যের কথা প্রথম শুনলাম। আমি মনে করি দেশের দুটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈষম্য থাকা ঠিক না। অচিরেই আমাদের মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দুই কমিশনের মর্যাদা এবং দায়িত্ব এক করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরু করব। এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করব। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে বিষয়টি সংশোধনের জন্য সংসদে তোলা হবে।’

মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে জনপ্রশাসনে কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ করার পরামর্শ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। এ ছাড়া যারা শারীরিক প্রতিবন্ধী মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পিএসসির চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান, খোরশেদ আরা হক, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ প্রমুখ। আলোচ্য বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিএসসির সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক। এ ছাড়া পিএসসির অন্য সদস্যরাও মতবিনিময়ে অংশ নেন।

মতবিনিময় সভায় পিএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও জনবান্ধব এবং আধুনিক করার বিষয়ে সভায় পরামর্শ দেন বক্তারা। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ এবং চৌকষ করার জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ ছাড়া বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে চলমান রাখতে কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।



মন্তব্য চালু নেই