ইসির বিরুদ্ধে লতিফ সিদ্দিকীর রিটের আদেশ বুধবার

প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর পদ বাতিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।

খোরশেদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আদালতে আবেদনকারী পক্ষের শুনানি হয়েছে। বুধবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।তবে আদেশ দেওয়ার আগে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্যও শুনবেন।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট সংসদ সদস্য পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লতিফ সিদ্দিকী।

রিটে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিতের আরজি জানানো হয়েছে। ওই চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুলও চাওয়া হয়েছে।

রিটে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব (আইন) ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে মন্ত্রিপরিষদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হন লতিফ সিদ্দিকী।

লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের আট মাস পর বিষয়টি জানিয়ে আওয়ামী লীগের পাঠানো চিঠি গত ৫ জুলাই স্পিকার শিরীন শারমিনের হাতে পৌঁছায়।

এ অবস্থায় লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, তা মীমাংসার জন্য আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তারপর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে ২৩ অগাস্ট শুনানিতে ডাকা হয়। নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করেন লতিফ সিদ্দিকী।



মন্তব্য চালু নেই