পরিবারের অভিযোগ

ইসমাইল অপহরণের নেপথ্যেও তারেক-আরিফ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন অপহরণের নেপথ্যেও র‌্যাব-১১ এর চাকরিচ্যুত অধিনায়ক (সিও) তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ও অপহৃতের ভাই আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরে তারেক সাঈদের দাবি করা দুই কোটি টাকা দিতে না পারায় তার ভাইকে ফেরত পাওয়া যায়নি। তারা এক কোটি টাকা দিতে চাইলে তারেক সাঈদ তা নিতে অস্বীকার করেন।’

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার পাঁচ আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট যাবিদ হোসেনের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরা হলেন-মোশাররফ হোসেন, কাওসার, সেলিম, মামুন ও কাইয়ুম।

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ী ইসমাইল অপহরণের নেপথ্যেও ছিল গডফাদার নূর হোসেনের শ্যালক নূর আলমের ইন্ধন। মামলার আসামিরা নূর আলমের সহযোগী। এ কারণে ৫ আসামিকে রিমান্ডে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে র‌্যাবের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও আসতে পারে।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকায় শহীদ চেয়ারম্যানের গার্মেন্টস সংলগ্ন আশিক নার্সারীর সামনে থেকে মাইক্রোবাস থামিয়ে বন্ধু হিরণকে মারধর করে ইসমাইলকে অপহরণ করা হয়।

ওই ঘটনায় ইসমাইলের ছোটভাই মান্নান বাদী হয়ে কাঁচপুরের কুতুবপুর এলাকার মোশারফ, সেলিম, কাইয়ুম, কাওসার, মামুন, নাসিরউদ্দিনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই