ইন্সট্যান্ট নুডলসে হতে পারে ক্যানসার!

সময়ের অভাব বা অলসতা যায় বলুন না কেন, মজাদার নুডলস কষ্ট ছাড়া হাতে আসলে কেনা পছন্দ করে? রান্না করার ঝামেলা না থাকায় আরামপ্রিয় বিশ্ববাসীর কাছে ইন্সট্যান্ট নুডলসের কদর বেড়ে চলেছে। অথচ গবেষকদের মতে ইন্সট্যান্ট নুডলস মানে নানা রোগের কারখানা। আসুন দেখে নেয়া যাক ইন্সট্যান্ট নুডলস গোপনে আমাদের শরীরের কি ধরনের ক্ষতি করে চলেছে…

খাবারে অরুচি

খাওয়ার মজা ইন্সট্যান্ট নুডলস সময় এবং কষ্ট দুই-ই বাঁচায়। অপরদিকে নিরবে ক্ষতি করে দেহের। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শাক-সবজি বা ফলমূল খেলেও প্রত্যাশিত ফল লাভ হয় না। কারণ শরীর তখন আর শাক-সবজি বা ফলের পুষ্টি উপাদান শরীরে নিতে পারে না। বস্তব সত্য হল, ইন্সট্যান্ট নুডলস খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিকভাবে কাজই করে না।

ক্যানসারের ঝুঁকি

ইন্সট্যান্ট নুডলস অনেকদিন ভালো রাখার জন্য যে ‘প্রিজারভেটিভ’ মেশানো হয়, সেগুলোর কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। কাপ-নুডলসের কাপ তৈরি করা হয় ‘পলিস্টাইরিন’ দিয়ে। সেই পলিস্টাইরিনেও থাকে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ানোর মতো উপাদান। কাপে গরম পানি ঢাললেই সেই উপাদানগুলো গলে নুডলসে মিশে যায়।

কিডনির সমস্যা

ইন্সট্যান্ট নুডলসে প্রচুর ‘সোডিয়াম’ থাকে। নুডলসের ছোট একটা প্যাকেটে কমপক্ষে ৮০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। অথচ একটা মানুষ সারাদিনে মাত্র ২৪০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম নিতে পারে। ফলে প্রতিদিন একটা করে নুডলস খেলেও কিডনিতে অনেক ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দেহের অস্বস্তি বাড়ায়

প্রচুর এমএসজি, অর্থাৎ‘মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেট’-ও থাকে ইন্সট্যান্ট নুডলসে। এই এমএসজি, যা সাধারণভাবে ‘চাইনিজ লবণ’ বলে পরিচিত, অনেকের একদমই সহ্য হয় না। ফলে ইন্সট্যান্ট নুডলস খেলেই শুরু হয় মাথাব্যথা, বুক ব্যথাসহ নানা ধরণের সমস্যা। তাই দীর্ঘদিন ইন্সট্যান্ট নুডলস খাওয়ার ফলে এক সময় মাথাব্যথা, অ্যালিার্জি বা বুকে ব্যথা হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে

নুডলস যাতে শুকিয়ে শক্ত হয়ে না যায়, সেজন্য ‘প্রোপিলিন গ্লাইকল-’এর মতো ‘অ্যান্টিফ্রিজ’ উপাদানও মেশানো হয় ইন্সট্যান্ট নুডলসে। এ সব উপাদান অনেক ধরণের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ সবের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং কোনো এক সময় ক্যানসারও হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই