ইতালীয় নাগরিক খুন: ২৪ ঘণ্টা পার গ্রেপ্তার নেই

রাজধানীর গুলশানে ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার (৫০) হত্যাকান্ডের পর এরই মধ্যে ২৪ ঘণ্টারও বেশি পার হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনীদের গ্রেপ্তারে চারটি গোয়েন্দা টিমের কাজ করার কথা বললেও রাতে পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে মামলার অগ্রগতি সামান্যই। এরই মধ্যে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের সহকর্মী। পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই রাত নয়টা পর্যন্ত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মুনাসিরুল ইসলাম বলেন, তাবেলা সিজার হত্যা মামলা তদন্ত করবে ডিবি নর্থ বিভাগ।

মামলায় গ্রেপ্তার বা অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গুলশান থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. সাব্বির হোসেন বলেন, তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় এখনো পর্যন্ত কোন আসামিকে চিহ্নিত করা যায়নি তাই গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।

হত্যাকান্ডের সময় গুলশানের রাস্তার লাইট বন্ধ ছিল কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে সিসি ক্যামেরাগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার সময় রাজধানীর গুলশান ২ এর ৯০ নম্বর রোডে জ্যাগিং করতে গিয়ে দূর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হন ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। তার শরীরেও তিনটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহতের সুরতেহাল প্রস্তুতকারী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির রহমান বলেন, একটি গুলি তার বুকে ও দুইটি গুলি তার পিঠে পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কজে হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মির্জা আবদুল্লাহ হেল বাকী বলেন, ঘটনার পরে সিআইডি পুলিশের একটি টিম ডিএমপিকে সহযোগিতা দিয়েছে। তবে যেহেতু মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছেনা সেহেতু আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবনা।

এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি। ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই