ইতালীয় নাগরিককে হত্যাচেষ্টা, গ্রেফতার ১২

দিনাজপুরে ইতালীয় নাগরিক পিয়েরো পিচম কে গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দিনাজপুর কসবা খ্রিস্টান মিশনের ফাদার সিলাস কুসুজবাদী বাদী হয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

পিয়েরো পিচম কে গুলি করে হত্যার চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে- জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ভুট্টু, ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সারোয়ার হোসেন (৫৫), সহ-সভাপতি মো. মাহাবুর রহমান চৌধুরী (৫০), বিএনপি সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ (৪৮), মো. রমজান আলী (৩৮), ঘোড়াঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন (৩২), সদস্য মো. তফু (২৩) সহ বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা-কর্মীকে। এদের গত দুই দিনে জেলার বিভিন্নস্থান থেকে আটক করা হয়।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেকুজ্জামান জানান, কসবা খ্রিস্টান মিশনের ফাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তদের নামে মামলা দায়ের করেন। দিনাজপুর পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দিনাজপুর ডিবি পুলিশকে।

দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি রেজওয়ান রহিম জানান, দিনাজপুর ডিবি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর কিছু বলা যাচ্ছে না।

ইতালীয় নাগরিক পিয়োরা পিচম পেশায় চিকিৎসক। তিনি শহরের সুইহারী নাভানা ক্যাথলিক মিশন (এনটিএস) চার্চের ফাদার। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দিনাজপুর মিশনে কর্মরত রয়েছেন।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় শহরের মির্জাপুর বিআরটিসি বাস কাউন্টার সংলগ্ন এলাকায় দুবৃর্ত্তের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন।

দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক পার্থ সারথি রায় ও এ টি এম জিল্লুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পিয়ারো পিচম কে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই চিকিৎসকরা জানান, বাম কাধেঁর পিছন থেকে একটি গুলি গলার সামান্য অংশ ভেদ করে ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। কাধে শুধু গুলির আঘাতই রয়েছে। তারা তাকে আশঙ্কা মুক্ত করেছিলেন।

গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টার যোগে পিয়েরো পিচম কে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

দিনাজপুর পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, দিনাজপুরের খ্রিস্টান মিশনে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের জন্য পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে। যে সব মিশনে বিদেশি নাগরিক বসবাস করেন, সেই সকল মিশনের প্রধান গেটের সামনে পুলিশ বসানো হয়েছে। তাছাড়া যে সকল বিদেশি নাগরিক হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে লেখাপড়া করেন, তাদেরও বিশেষ নিরাপত্তার আওতায় রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই