ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় শতাধিক প্রাণহানি ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা : আইনমন্ত্রী

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতায় শতাধিক মানুষের গ্রাণহানিকে ‌‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে বর্ণনা করলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ইউপি নির্বাচনে ১ম থেকে ৬ষ্ঠ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও একই দলে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার কারণে কোথাও কোথাও ‘বিচ্ছিন্ন’ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার সকালে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ কার্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ৪ হাজার ১০৪টি ইউনিয়নে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণভাবে ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রতিটি উপজেলায় নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার পর হতেই ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি উপজেলায় ভোটগ্রহণের আগের ২ দিন ও ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মোট ৪ দিন আরও অতিরিক্ত ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিসিয়িাল ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আচরণবিধি প্রতিপালনের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

এ ছাড়া প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২০ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জন সশস্ত্র ও লাঠিধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ৩য় ধাপের নির্বাচনের পূর্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে ২য় দফায় আরও একটি সভা করে তাদের অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে যাতে মহিলা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং নির্বাচনে পরবর্তী সময়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখেন, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই