আড়াই লাখ শূন্য পদে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যাপারে কাজ করছে সরকার

বিভিন্ন পদে আড়াই লাখ জনবল নিয়োগের ব্যাপারে কাজ করছে সরকার। প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার এবং দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কমবেশি আড়াই লাখ শূন্য পদে জনবল নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানে এ তাগিদ দেয়া হয়েছে। আর এসব শূন্য পদের ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের পূর্বানুমতি বা ছাড়পত্র নিতে হবে না।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেয়ার বিধান ২০১০ সাল থেকে রহিত রয়েছে। তবে উদ্বৃত্ত জনবল নিয়োগের সুবিধার্থে মোট শূন্য পদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি ৯০ শতাংশ পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

তিনি জানান, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, প্রতিষ্ঠান, এমনকি জেলা প্রশাসন থেকে শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পূর্বানুমতি প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইছেন। তাই বিষয়টি তাদের আবার জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর এক পরিপত্রে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় জানায় যে, সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং অধীনস্থ দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সংস্থা বা কার্যালয়ের রাজস্ব খাতের শূন্য পদ পূরণের জন্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেয়ার প্রয়োজন নেই।

তবে ওই পত্রে বলা হয়, সরকারের আকার সীমিত করা, ব্যয় সংকোচন, সরকার কর্তৃক কোনো পদ বিলুপ্তির ফলে এবং ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের ফলে উদ্বৃত্ত জনবল আত্তীকরণের জন্য নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণী, ২য় শ্রেণী এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর মোট শূন্য পদের ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ এসব পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সারাদেশে প্রায় আড়াই লাখ পদ শূন্য রয়েছে। সকলকে চাকরির সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেয়া হচ্ছে।

কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিয়োগের যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে তা শেষ করতেই ছয় মাস সময় চলে যায়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই, পরীক্ষা গ্রহণ, ফল ঘোষণা পর্যন্ত ধাপগুলো শেষ করতে এক বছর সময় চলে যায়।

এর মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি হয়। কারণ দেখা যায়, এক হাজার পদের জন্য আবেদনকারী থাকে সাত থেকে আট লাখ। এত সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য কেন্দ্র পাওয়াও দুষ্কর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিবেচনায় নেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্লাস পরীক্ষা থাকে। সেজন্য সবকিছু সমন্বয় করে সুবিধামত দিন নির্ধারণ করতে অনেক সময় লাগে। ফলে ইচ্ছা থাকার পরও কাঙ্ক্ষিত সময়ে নিয়োগ শেষ করা যায় না।



মন্তব্য চালু নেই