উত্তাল সাগর, প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি

আসছে রোয়ানু : ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কাছ থেকে কিছুটা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে এসে সাগরের পশ্চিমমধ্য ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং কক্সবাজারে ৬ বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে এই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর, কক্সবাজারে ৬ এবং খুলনা ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। আর সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়।

শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ বাংলাদেশের উপকূল থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে। ঘূর্ণিঝড়টি ভারত-বাংলাদেশ ঊপকূলে আঘাত হানতে পারে, আবার প্রচুর বৃষ্টি হয়ে দুর্বলও হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

গভীর নিম্নচাপ থেকে বুধবার গভীররাতে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সাইক্লোন শেল্টারগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
দুর্যোগ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ছুটি বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সম্ভাব্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা পর্যায়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি সব উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। যে কেউ জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০৩১-৬১১৫৪৫ নম্বরে ফোন করে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে খবর নিতে পারবেন।

মংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’-এর কারণে মংলা বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের পণ্য ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। মংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নিরাপদে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।মংলা বন্দর কর্মকর্তা (অপারেশন) মো. আলতাফ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজগুলোকে নিরাপদে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মনিটরিংয়ের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী প্রিন্স বলেন, ঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই