আলটিমেটামেও নড়ছে না টিআইবি

‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর সরকারি দলের কঠোর প্রতিক্রিয়ায়ও নিজেদের অবস্থান থেকে সড়বে না ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই গবেষণা প্রতিবেদনে সংসদের বাস্তব অবস্থার প্রতিফলনই ঘটেছে।

বুধবার পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের পক্ষ থেকে এই অবস্থান জানানো হয়ছে। ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশের পর গত ৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিরূপ মন্তব্য ও অভিমত ট্রাস্টি বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়ায় তারা এ অবস্থান ব্যক্ত করলেন।

টিআইবির পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাস্টি বোর্ড দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, বরাবরের মতো এবারের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ, তথ্যনির্ভর, একই সঙ্গে গবেষণা প্রসূত, যা সংসদ সচিবালয়, সংসদে প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ ও বিটিভি প্রচারিত সরাসরি সম্প্রচার থেকে প্রাপ্ত। তাই বলা যায়, ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে।

তবে প্রতিবেদনের কোন অংশ বা নির্বাহী পরিচালকের (ড. ইফতেখারুজ্জামান) কোনো বক্তব্যে যদি কোনো সংসদ সদস্য আহত হয়ে থাকেন তাহলে তা কেবলই ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ অধিবেশন সময়ের কার্যক্রম ও ভূমিকা বিশ্লেষণ নিয়ে ‘পার্লামেন্টওয়াচ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সেখানে স্পিকারের দায়িত্বে অবহেলা, সাংসদের অপ্রাসঙ্গিক বচন, কোরাম সঙ্কটে ক্ষতির পরিমাণ ও বিরোধী দলের তোষামোদের ভূমিকাসহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া সেই সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বর্তমান সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’র মতো মনে হয় বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি দলের নানা মহলের সরাসরি সমালোচনাসহ গত ৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। এমনকি এসব প্রতিবেদন ও মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে টিআইবিকে ক্ষমা চাওয়ার সময়ও বেঁধে দেন সরকার দলীয় এক সংসদ সদস্য। ক্ষমা না চাইলে টিআইবির কার্যক্রম স্থগিত করারও প্রস্তাব করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই