আমার ভোট ‘ওপেন’ দিতেই পারি

সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোটটি দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় তিনি প্রকাশ্যেই ব্যালটে সিল মারেন। এমনকি ইসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোনেও উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন।

প্রকাশ্যে ভোট দেয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করলেও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ছিলেন নীরব ভূমিকায়।

ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর কেন্দ্রের সামনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজে জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে পারায় আমি আনন্দিত।

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘নেত্রী আমাদের মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আমার ভোট আমি ওপেন দিতেই পারি।’

এ সময় কেন্দ্রে ফোন নিয়ে গেলেও তা বন্ধ রেখেছিলেন বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন বলেন, ‘আমরা ভোটরাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি তারা যেন তাদের ভোট ওপেন না দেন এবং কেউ যেন কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ না করেন। তারপরও কেউ আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মাঝে খুব একটা আমেজ লক্ষ্য করা না গেলেও জেলায় এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। নির্বিঘ্নভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ও কেন্দ্রের আশপাশে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে ইতোমধ্যেই সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জেলার বিভিন্ন স্তরের ১৩৫৩ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।



মন্তব্য চালু নেই