‘আপাতত লিবিয়ায় শ্রমিক পাঠাবে না সরকার’

‘সরকারের হাতে লিবিয়ার যথেষ্ট ভিসা আছে। কিন্তু সরকার কোনো বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় না। কারণ, আমরা জেনে-শুনে কাউকে মৃত্যুর মুখে ফেলতে চাই না।’

রোববার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামসুন নাহারসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা ব্যাপক। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ শ্রমিক বিদেশে অবস্থান করছে। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের হাতে লিবিয়ার যথেষ্ট ভিসাও আছে। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত লিবিয়াতে কোনো বাংলাদেশি পাঠানো হবে না।

তিনি বলেন, নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সারা বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে ২০১৮ সালে একটি সম্মেলন হবে। যেখানে অভিবাসন রোধে আলোচনা হবে। মানবপাচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মানবপাচারের ফলে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অবৈধ অভিবাসন রোধে কাজ করছে। অবৈধ অভিবাসনকে সরকার কখনো সমর্থন করে না। কেননা, জেনে-শুনে সরকার কখনো কারো মৃত্যু চায় না। এই অবৈধ অভিবাসনের মূল কারণ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যারা সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদেরকে ফাঁদে ফেলছে। ফলে তারা অবৈধ পথে বিদেশে যেতে বিপদে পড়ছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪ লাখ শ্রমিক বিভিন্ন দেশে যায়। ফলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছেই। এই শ্রমবাজার থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। তাই বলাই যায়, বিশ্বের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কদর আছে।

অনলাইন ভিসা চেকিং ও প্রসেসিংয়ে শ্রমিকরা উপকৃত হচ্ছে, জানিয়ে তিনি বলেন, এই পদ্ধতির ফলে শ্রমিকরা তাদের ভিসা হয়েছে কিনা তা জানতে পারছে। ফলে ভিসা প্রসেসিংয়ে প্রতারণা অনেক কমেছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিকদের জন্য অভিবাসন আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে আইনটি নিয়ে এখনো কাজ চলছে, পুরোপুরি শেষ হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই