আপনি কি আনফিট? ৭ লক্ষণে জেনে নিন

আপনি হয়ত স্বাভাবিকভাবেই অন্য মানুষদের মতো জীবনযাপন করেন। কিন্তু আপনার অজান্তেই ভেতরে ভেতরে দুর্বলতা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আপনার দেহের কিছু লক্ষণ থেকে বোঝা সম্ভব আপনি দুর্বল নাকি সুস্থ-সবল একজন ব্যক্তি।

১. পুশ আপ করতে না পারা
পুশ আপ বা বুকডন করতে না পারার অর্থ আপনার দেহের ফিটনেস মোটেই ভালো নয়। সঠিকভাবে বুকডন করার জন্য আপনার দেহকে সোজা রেখে হাতের ওপর ভর দিয়ে দেহকে ওঠানামা করতে পারবেন। ৫০ বছরের কম বয়সী যে কোনো ফিট ব্যক্তিরই পাঁচ থেকে ১০ বার বুকডন করতে পারা উচিত। আপনি যদি এ কাজটি না পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীর দুর্বল। সঠিকভাবে কারণ নির্ণয় করে শারীরিক অনুশীলন করে কিংবা অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে এ দুর্বলতা কাটাতে হবে।

২. হৃৎস্পন্দন কমার হার
শারীরিক অনুশীলনের সময় মানুষের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। এটি বেড়ে গিয়ে মিনিটে ১৪০ থেকে ১৯০ পর্যন্ত হতে পারে। তবে অনুশীলন বন্ধ করলেই তা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মিনিটে ২০ বিট করে কমতে থাকবে। তবে আপনি যদি দুর্বল হন তাহলে হৃৎস্পন্দন কমতে এর চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগবে।

৩. কোমরের মাপ
দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় আপনার ভুঁড়ি কিংবা কোমরের প্রস্থ যদি বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফিটনেসের সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে দেহের চর্বি বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এটি আপনার হৃৎস্পন্দন, কিডনি, লিভার, হজমতন্ত্র ও অগ্ন্যাশয়ের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে, যা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়। আপনার যদি এ লক্ষণ দেখা যায় তাহলে শারীরিক অনুশীলন ও সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে কোমরের পরিধি সঠিক মাত্রায় আনতে হবে।

৪. সিঁড়িতে ক্লান্তি
আপনার যদি সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর অক্সিজেনের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায় কিংবা ক্লান্তিবোধ হয় তাহলে সতর্ক হোন। এটি শারীরিক দুর্বলতার প্রমাণ। আপনার শরীরের এ অবস্থা ঠিক করার জন্য ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে জগিং করুন।

৫. চিনি
শারীরিক অনুশীলনের পর মিষ্টি পানীয় বা খাবারের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে পারে। তবে এটি অপর্যাপ্ত অনুশীলনের পরই বেশি দেখা যায়। নিয়মিত পর্যাপ্ত শারীরিক অনুশীলন করা হলে মিষ্টি পানীয় ও খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে যাবে। তাই আপনার চিনির প্রতি আকর্ষণ লক্ষ্য রাখুন।

৬. সব সময় ক্লান্তি
সারাদিন কাজের সময় আপনার কি সর্বদা ক্লান্তি ভর করে? পরিশ্রমের পরে ক্লান্তি লাগলে তা অতি স্বাভাবিক। কিন্তু অতি সামান্য পরিশ্রমে কিংবা বিনা কারণে যদি দেহ ক্লান্ত হয়ে যায় তাহলে তা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে আপনার দুর্বলতা রয়েছে বলে ধরা যেতে পারে।

৭. বিশ্রামের সময় হৃৎস্পন্দন
শান্ত হয়ে বিশ্রামের সময়েআপনার হৃৎস্পন্দন কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনার যদি বিশ্রামের সময়েও হৃৎস্পন্দন ৬০ থেকে ১০০ না থাকে তাহলে তা অস্বাভাবিক। এক্ষেত্রে শরীরের শুধু দুর্বলতা নয়, অন্য কোনো সমস্যাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে এর কারণ নির্ণয় করে তা দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

–চিটশিট অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব



মন্তব্য চালু নেই