আপনার ট্যাবলেট এমন পাঁচ কাজ করতে পারে যা আপনার জানা নেই

এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে আইপ্যাড প্রথম বাজারে আসে ২০১০ সালে। ট্যাবলেট এখনি বিনোদন, কাজ এবং এমনকি ক্যাফেতে কফি বিল দেওয়ার কাজেও ব্যবহৃত হয়।

একসময় যে যন্ত্রটির অস্তিত্ব বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতো মনে হতো সেটিই এখন আমেরিকান বাড়িগুলোর নিত্যব্যবহার্য পণ্য।
কিন্তু আমাদের বেশিরভাগই জানে না আমরা কত ভিন্ন উপায়ে আমাদের ট্যাবলেটেগুলো ব্যবহার করতে পারি। কিছু সেটিংস পাল্টান বা সঠিক অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং আপনি সবধরনের যাদুকরি ডিজিটাল কৌশল সম্পাদন করতে পারবেন।
এখানে রইল এমন পাঁচ জিনিস যেগুলো আপনার ট্যাবলেট করতে পারে কিন্তু আপনি হয়তো তা জানেন না।
১. ট্যাবলেট থেকে কম্পিউটার ব্যবহার
ডেস্কটপ হলো দুধারী তলোয়ার। ডেস্কটপ একইসঙ্গে ক্ষমতাশালি এবং এর রয়েছে বিশাল স্ক্রিন। কিন্তু এরা একটি জায়গায় বসে থাকে। ধুরুন আপনি রাস্তায় এবং হঠাৎ করেই আপনার কোনো ফাইল দরকার হলো। কিন্তু ওই ফাইল আপনার বাসা অফিসের ডেস্কটপ কম্পিউটারে রাখা আছে। কী করবেন?
এটা কোনো সমস্যাই নয় যদি আপনার কাছে থাকে স্প্ল্যাশটপ লোড করা কোনো ট্যাবলেট পিসি বা ম্যাক। বিনামূল্যের স্প্ল্যাশটপ স্ট্রিমার সফটওয়্যার ডাউনলোড করে তা আপনার ডেস্কটপ কস্পিউটারে ইনস্টল করুন। এরপর আইপ্যাড বা অ্যান্ড্রয়েডেও অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। তারপর দুটি যন্ত্রেই তাৎক্ষণিক দূরবর্তী প্রবেশাধিকারের জন্য একটি অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি করুন। এ উপায়ে আপনি এখন যে শহরে আছেন তা থেকে ভিন্ন কোনো শহরে অবস্থিত আপনার বাড়ির কম্পিউটারেও প্রবেশ করতে পারবেন।
এই অ্যাপটির দাম পড়বে ৯.৯৯ ডলার। বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন খরচ ১৬.৯৯ ডলার। যারা বেশি বেশি ভ্রমণ করেন এবং যাদেরকে নিয়মিতভাবেই বহনযোগ্য নয় এমন ফাইল বা সফটওয়্যারে প্রবেশ করার দরকার হয় তাদের জন্য স্প্ল্যাশটপ পার্সোনাল বেশ সহায়ক হতে পারে।
ম্যাকের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম সিয়েরাতেও একটি ফিচার রয়েছে যা আপনার ডকুমেন্ট এবং ডেস্কটপ ফোল্ডারগুলো ক্লাউডে রাখার সুযোগ করে দিবে। ফলে আপনি আইপ্যাড বা আইফোন থেকে যে কোনো সময় সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন।
২. তারহীনভাবেই আপনার ট্যাবলেট থেকে আপনার কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তর করুন
আপনি কখনো কোনো ফাইল আপনার আইফোন বা আইপ্যাড থেকে আপনার ম্যাক কম্পিউটারে ইমেইল করেছেন, এমনকি যখন আপনি ম্যাকের সামনে বসা আছেন এমন অবস্থায়ও? শুধু আপনি নন সব অ্যাপল ইউজাররাই এটা করেন। এতে কাজ করতে অনেক সুবিধা হয়।
এছাড়াও আপনার যন্ত্রগুলো বা বন্ধুদের মধ্যে ফাইল চালাচালি করার ভালো উপায় আছে। অ্যাপলের এয়ারড্রপ নামে একটি বিল্ট ইন ফিচার আছে। এর মাধ্যমে কাছাকাছি থাকা ডেস্কটপ ম্যাক এবং আইপ্যাড, আইফোন বা আইপড টাচ এর মতো ছোট ছোট যন্ত্রগুলোর মধ্যে ফাইল চালাচালি করা সম্ভব। ব্লুটুথ সংযোগ ব্যবহার করে আইওএস গ্যাজেট থেকে সহজ এবং সুবিধাজনক উপায়ে ফাইল স্থানান্তর করা যায়।
৩. আপনার ট্যাবলেটটিকে শক্তিশালি টিভি রিমোট বানান
ট্যাবলেটগুলো স্বজ্ঞামূলক করে ডিজাইন করা হয়। আর অনেক সময় সেগুলো টিভি রিমোটের মতো সময় পরিক্ষীত গ্যাজেটের চেয়েও বেশি স্বজ্ঞামূলক হয়। আর একটি সঠিক সিস্টেম স্থাপন করার মাধ্যমে আপনি আপনার রিমোটটি পুরোপুরি প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।
অনেক ট্যাবলেট টিভির কথা মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়অ। যেমন গ্যালাক্সি ট্যাবে রয়েছে আইআর ট্রান্সমিটার যা আপনি সার্বজনীন টিভি রিমোট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
৪. ট্যাবের ছবি এবং ভিডিও টিভিতে দেখা
অনেক স্মার্ট টিভিই আপনাকে ইতিমধ্যে ইউটিউব, ভিমেও এবং ফ্লিকারে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। সুতরাং আপনি চাইলে সহজেই হোম ভিডিওসহ আপনার অনলাইন কন্টেন্ট আপলোড করতে পারবেন এবং সেগুলো আপনার টিভিতে দেখতে পারবেন। কিন্তু ট্যাবলেট থাকলে আপনাকে আর এই সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
উদাহরণত, আপনার যদি একটি আইপ্যাড এবং অ্যাপল টিভি থাকে তাহলে আপনি এয়ারপ্লে ব্যবহার করে আপনার ট্যাবলেটের ডিসপ্লে বড় স্ক্রিনে প্রজেক্ট করতে পারবেন। আর অ্যাপল টিভি না থাকলে এবং ওয়াইফাই না থাকলে একটি ভিজিএ অ্যাডাপ্টার দিয়ে আইপ্যাডটি সরাসরি টিভি সেটে লাগিয়ে দিন।
অ্যান্ড্রয়েড ইউজাররা অলকাস্ট নামের একটি অ্যাপ ব্রবহার করতে পারেন। এটি আপনার অ্যান্ড্রয়েডকে অ্যামাজোন টিভি, অ্যাপল টিভি এবং রোকুসহ ভিন্ন ভিন্ন সেবায় যুক্ত করবে।
৫. আপনার গিটার টিউন করুন
পেশাদার সঙ্গীতজ্ঞরা বৈদ্যুতিক গিটার বহন করেন। কিন্তু দ্রুত টিউন করার জন্য বা কনসার্ট ট্যুরে ব্যাকআপের জন্য গিটার টুনা নামের ফ্রি অ্যাপটি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
আইপ্যাড বা অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটের বিল্ট-ইন মাইক ব্যবহার করে গিটার টুনা অনেক দ্রুত, সঠিক এবং সহজভাবে ব্যবহার করা যায়। আর এটি সব ধরনের স্ট্রিং-ভিত্তিক যন্ত্রে কাজ করে।
সূত্র: ফক্স নিউজ



মন্তব্য চালু নেই