আন্দোলন চলবেই

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠক শেষেও চলমান আন্দোলন কর্মসূচি অব্যহত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আন্তিরিক পরিবেশের মধ্যে মন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো সমাধান আসেনি। তাই আমাদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে চলমান সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে তিনি ফেডারেশনের মহাসচিব এএসএম মাকসুদ কামালকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকটি হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব হলেন মো. সোহরাব হোসাইন।

এদিকে পদমর্যাদা, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষক। তারা জানিয়েছে, সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়া অব্দি। শিক্ষক ধর্মঘটের কারণে ক্লাস, মিডটার্মসহ সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যার ফলে ভয়াবহ সেশনজটের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক নেতাদের ধরাণা ঘোষিত অষ্টম বেতন কাঠামো বাস্তবায়িত হলে সপ্তম বেতন স্কেলের তুলনায় গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের হার অর্ধেকেরও নিচে নেমে যাবে। তাদের অভিযোগ, বর্তমান স্কেলে গ্রেড-১ প্রাপ্ত শিক্ষকদের থেকে সুপার গ্রেডের দ্বিতীয় ধাপে যাওয়ার কোনো সুযোগ-সুবিধা ও দিকনির্দেশনা প্রকাশিত গেজেটে নেই। এখনো পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো পরিপত্রও জারি করা হয়নি।

গত ২০ ডিসেম্বর অষ্টম বেতন স্কেল ঘোষণার পর ২ জানুয়ারি দীর্ঘ তিন ঘণ্টার আলোচনায় বসে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। ৩ জানুয়ারি থেকে কালো ব্যাজ পড়ে ক্লাসে যাওয়াসহ নানা কর্মসূচি পালন এবং দাবি পূরণের জন্য ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দেয় শিক্ষক নেতারা। তাদের দাবি মানা না হলে ১১ জানুয়ারি থেকে টোটাল শাটডাউনের ঘোষণাও দেয়া হয়েছিল তখন। সে ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল সোমবার থেকে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করছে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।



মন্তব্য চালু নেই