আদালতে হাজির হচ্ছেন না খালেদা জিয়া
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণ আজ। তবে তিনি আদালতে হাজির হচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
বুধবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিচারক বাসুদেব রায়ের বিশেষ আদালতে মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। তবে আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেত্রী আজ আদালতে হাজির হচ্ছেন না।
গত ৮ ডিসেম্বর খালেদার জিয়ার অনুপস্থিতিতে আইনজীবীদের ব্যাপক হট্টগোলের মধ্যে দুই মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলা দুটিতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
উচ্চ আদালতে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন করা হলে সেটি খারিজ হয়। এই খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদন খারিজের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন না মর্মে উচ্চ আদালতে বর্তমান আদালত পরির্বতনের জন্য পুনরায় আবেদন করেন।
মন্তব্য চালু নেই