আত্রাইয়ে বন্যায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবিশস্য চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
নওগাঁর আত্রাইয়ে এবারের স্মরণকালের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা রবিশষ্য চাষে কোমর বেঁধে নেমেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রের্কড পরিমাণ জমিতে রবিশস্য চাষে করা হচ্ছে।
এ বছর ভয়াবহ বন্যায় বর্ষাকালীন কোন আবাদ করতে না পারায় পুরো উদ্যোমে রবিশস্য চাষে ঝুঁকেছে কৃষকরা। উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে চলছে রবিশস্য চাষের ব্যাপক প্রস্ততি। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মাঠে আলু, ভুট্টা, পিয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন রবিশস্য বপন ও রোপন করছে কৃষকরা।
আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার রবি মৌসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১০ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে রবিশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারণকৃত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে সরিষা ৩ হাজার হেক্টর, আলু ২ হাজার ৭০০ হেক্টর, গম ৪৭৫ হেক্টর, ভুট্টা ৩ হাজার ২০০ হেক্টর, চিনা বাদাম ৮০ হেক্টর, মসুর ডাল ৩৫ হেক্টর, খেসারি কালাই ২৪ হেক্টর, পিঁয়াজ ১৮০ হেক্টর, রসুন ৪০ হেক্টর, মরিচ ৫০ হেক্টর এবং শাকসবজি ৩৬০ হেক্টর। জানা যায়, রবিশস্যের দাম বর্তমান বাজারে ভালো থাকায় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সংকট মেটাতে কৃষকদের মাঝে রবিশস্য চাষের যথেষ্ট আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
রবিশস্য উৎপাদনে খরচ অনেক কম কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। উপজেলার তারাটিয়া বড়ডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আয়েত আলী বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় আমরা এবার অধিকহারে ভুট্টা চাষ করছি।
যেহেতু ভুট্টা উৎপাদনে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি, তাই আমরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছি। উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের আব্দুল জব্বার বলেন, গত বছর আলু করে লাভবান হয়েছি।এ জন্য এবার আগাম আলু চাষ করছি। এবারের বন্যায় আমাদের রবিশস্য চাষে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। বন্যা না হলে আরও আগে আলুচাষ করে আমরা লাভবান হতে পারতাম।
আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.এম এ আজিজ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষককে পুনর্বাসনের আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কৃষকরা যেন আলু, ভুট্টা, সরিসাসহ বিভিন্ন ফসলের বীজ ক্রয় করে প্রতারিত না হয় এ জন্য উপজেলা পর্যায় থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। অল্প খরচে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যেন রবিশস্য উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা বিভিন্নভাবে পরামর্শ প্রদান করছি।
মন্তব্য চালু নেই