আত্রাইয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকোঁ পারাপার

নওগাঁর আত্রাইয়ে একটি ব্রিজের অভাবে যুগ যুগ ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাকোঁ দিয়ে পারাপার হয় ৭ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। সারাদেশে উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরয়ে গেলেও আজও নির্মিত হয়নি উপজেলার হাতিয়াপাড়া রতনডারার উপর নির্মিত এ ব্রিজটি।

আত্রাই উপজেলার ১ নং শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া রতনডারা খালের উপর নির্মিত লক্কর ঝক্কর এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে কৃষক-শ্রমিক স্কুল শিক্ষার্থী সহ হাজার হাজার মানুষ।

হাতিয়াপাড়া, পশ্চিম মির্জাপুর, সুবর্ণকুন্ডু, কাশিমপুর, পার-কৃষ্ণপুর, মাগুড়াপাড়াসহ বেশ কয়েকটা গ্রামের লোকজনকে পারাপার হতে হয় এ সাকোঁ দিয়ে। হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মির্জাপুর মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য এ সাঁকো ব্যবহার করতে হয়।

সাঁকোটি দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে নির্মান করা হলেও কৃষিপণ্য পরিবহনের উপযোগী না হওয়ায় এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজভাবে বাজারজাত করতে পারে না। ফলে তারা বঞ্চিত হয় নায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে।

এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবী এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মানের। এখানে ব্রিজ নির্মান হলে এলাকাবাসীর এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে। কোমলমতি ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার সকল সাধারণ জনগন পাবে যোগাযোগের সুফল।

হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ শাহনাজ বানু লাভলী জানান, এলাকা বাসীর স্বাধীনতার ৪৪ বছরের একটিই স¦প্ন একটি মাত্র ব্রিজের, ৭ টি গ্রামের মানুষের জন্য হাতিয়াপাড়া রতনডারার উপড় একটি ব্রিজের প্রয়োজন।

এই স্থানটিতে যে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছিলো তা দীর্ঘ সময় থেকে সংস্কার না করায় দুর্বল হয়ে পড়েছে। সাকোঁটি উপর দিয়ে পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। হাতিয়াপাড়া গ্রামের মোঃ ময়নুল হাসান লাফু বলেন, এ বাঁশের সাকোঁ দিয়ে কমলমতি শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধাদের চলাচল করা মারাত্মক হুমকি সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

এলাকার কৃষকদের কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা ও থানা সদরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

মাগুড়াপাড়া গ্রামের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী আমাদের দীর্ঘ দিনের। এ দাবী কেউ বাস্তবায়িত করেনি। যার জন্য এলাকা বাসীকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে ১ নং শাহাগোলা ইউ পি চেয়ারম্যান এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন (চান্দু) সাথে কথা বললে তিনি জানান, এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বাঁশ দিয়ে সাকোঁটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই