আটা ও লবন মিক্সকরে ঘরেই তৈরীহয় কারি কারি অ্যান্টিবায়োটিক
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় বুধবার দুপুরে পৃথক দুটি অভিযানে বিপুলপরিমাণ নকল ওষুধসহ রাসেল (৩০) নামের একজনকে আটক করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় নামিদামি ব্র্যান্ডের অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরনের নকল ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও উপকরণ জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, নকল ওষুধ তৈরির দুটি কারখানার মালিক রাসেলকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-।অভিযানে দেখা যায়, এসিআই কোম্পানির ফ্লুক্লক্স ৫০০ (ফ্লুক্লক্সসিলিন) নামের অ্যান্টিবায়োটিক ক্যাপসুল তিনি তার নিজবাড়িতে এবং দোকানের ভেতর বসেই তৈরি করছেন। ওষুধের অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল এবং প্যাকেট প্রেস থেকে ছেপে নিয়েছেন। খালি ক্যাপসুল কিনে তার ভেতর আটা এবং লবণ মিশিয়ে ক্যাপসুলটি তৈরি করেন। ছাপানো অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল টুকরা করে হিট দেয়ার মেশিন দিয়ে চারটি করে ক্যাপসুল প্যাকিং করছেন। এ রকম ১০টি প্যাকেট একটি কাগজের বাক্সে ভরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। ফয়েল এবং কাগজের বাক্সটি তিনি এসিআই কোম্পানিকে হুবহু নকল করে ছেপে নিয়েছেন। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয় যে, এগুলো নকল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। তবে পাতা ছিঁড়ে ক্যাপসুল বের করে দেখা যায়, আসলটির গায়ে ছোট করে ওষুধের নাম এবং কোম্পানির নাম লেখা রয়েছে কিন্তু নকল ক্যাপসুলের গায়ে কিছু লেখা থাকে না। এক বাক্স ওষুধের গায়ে খুচরা মূল্য লেখা আছে ৪২১ টাকা। এসিআই কোম্পানি ৩৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করলেও রাসেল তার নকল ওষুধটি পাইকারি হিসেবে ২০০ টাকায় বিক্রি করেন। ফলে কতিপয় অসাধু খুচরা বিক্রেতা বেশি লাভের জন্য জেনে-শুনেই এই নকল ওষুধ এখান থেকে কিনে নিয়ে যান বলে রাসেল জানান। এ ছাড়াও এসকেএফ কোম্পানির ওস্টোক্যাল ডি, বেক্সিমকো কোম্পানির বেক্সট্রাম গোল্ড, স্কয়ার কোম্পানির নিউরো বি, কেলবোন্ডডি এবং ফিলওয়েল ওষুধের হুবহু নকল করছিলেন।
র্যাব-১০ এর অভিযান পরিচালনা করেন মেজর শামীম আহামেদ, পিএসসি। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ড্রাগ সুপার মো. ওজিউল্লাহ।
মন্তব্য চালু নেই