আটককৃতদের মুক্তি না দিলে লাশ দাফন হবে না

শবে বরাতের রাতে আগুনে পুড়ে ও গুলিতে নিহত ১০ জনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে মিরপুর বিহারি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুইটি ট্রাকযোগে মৃতদেহগুলো পৌছানোর পর বিহারিরা আন্দোলন- ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এসময় বিহারি নেতারা ঘোষণা দেন, গতকালের ঘটনার পর যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে না ছেড়ে দেওয়া পর্যন্ত লাশ দাফন করা হবে না।

পরে অনেকেই লাশের পাশে বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিহারীরা দাবি করেন, প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে।

এদিকে মিরপুরের কালশী বিহারি পল্লির আলোচিত ১০ মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা ৬টি মামলা আনুষ্ঠানিভাবে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ পুলিশ কমিশানার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম জানান, পৃথকভাবে দায়ের করা ৬টি মামলা আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি মামলা কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের এবং অন্য ৩টি মামলা মিরপুর ১১ নম্বর ক্যাম্পের।

শুক্রবার শবেবরাতের রাতে আতশ বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনা শনিবার ভোরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আগুনে পুড়ে ১০ জনের মৃত্যু ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুর্মিটোলা ক্যাম্পের আই ওয়ান লাইন ঘরের বেবি আক্তার (৪৫), বেবির ছেলের স্ত্রী জায়েদা, বেবির দুই মেয়ে শাহানা (২৫) ও আফসানা (১৮), শাহানার ছেলে আদিল (১০), ফারজানা (১৫), যমজ দুই ভাই লালু ও ভুলু (৮), বেবির ছেলে আশিক (২০), আজাদ (৪৫)। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলীবিদ্ধ আজাদ নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।



মন্তব্য চালু নেই