দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি নিয়ে মন্তব্য

আজ ব্যাখা দিতে হবে পাকিস্তানকে

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের বিষয়ে আজ ব্যাখ্যা দিতে হবে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশে দেশটির হাই কমিশনার সুজা আলমকে আজ ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাকিস্তান হাই কমিশনারকে তলব করে এ ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যাও চায়।

শনিবার রাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়। এই দণ্ড কার্যকর করার সমালোচনা করে রোববার বিবৃতি দেয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র কাজী খলিকুল্লাহ। পাকিস্তানের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম’।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের এই বিচারকে ‘প্রহসন’ আখ্যায়িত করে এনিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ার কথাও বলেছে পাকিস্তান। মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার ইতিহাসকে ভুলে গিয়ে ১৯৭৪ সালের ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ চুক্তির আলোকে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ঢাকার প্রতি আহ্বান রেখেছে ইসলামাবাদ।

এর আগে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ডের পরও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল পাকিস্তান।

মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যাকারী দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া প্রকাশের পর পরই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে রোববার দেশটির হাইকমিশনারকে সোমবারের মধ্যে ব্যাখ্যা দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন ধুলিস্যাত করতে গণহত্যা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরও পাকিস্তানিদের মনের জ্বালা মেটেনি। তারা এ দেশীয় দোসরদের জন্য এখনও নানাভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ১৯৭১ সালে যে জাতি পাকিস্তানিদেরকে যুদ্ধে হারিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে তারা এই দেশের এমন উদ্ধত আচরণ মেনে নেবে-এটা কখনও হতে পারে না।



মন্তব্য চালু নেই