আগাম মূলা চাষে কৃষকের হাসি

চর্তুদিকে মানবপাচারের ধুমধাম, হৈ চৈ। তার সামনে দিয়ে অসংখ্য মানুষ পাচার হয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য চলে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় সোনাইছড়ি গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম (৩৮) এসবের দিকে লোভ না করেই বাপ-দাদার কৃষি পেশা নিয়ে মশগুল। তার গ্রামের অসংখ্য লোক বর্তমানে ঘর ছাড়া হলেও তিনি বহাল তবিয়তে গতানুগতিক ও স্বাভাবিক ভাবে সংসার নিয়ে নিশ্চিন্তে রয়েছে এবং আগাম মূলার চাষকরে বেশ লাভবান হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপারং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের বাদামতলী এলাকায় তার মূলা ক্ষেতে কথা হয় কৃষক আবুল কাশেমের সাথে। আবুল কাশেম বলেন, সবাই যখন মানবপাচার সহ নানা অন্যায় ধান্ধায় ব্যস্ত তখন মাথায় আসল ব্যতিক্রম কিছু করার। তিনি আরো বলেন, এভারেষ্ট জাতের হাই ব্রীড প্রায় ২০০ গ্রাম মূলার বীজ কিনেছি প্রায় ২ হাজার টাকায়। এ বীজ প্রায় ১০ শতক জমিতে চাষকরি। সর্বসাকুল্যে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। রোপনের ২০ দিনের ব্যবধানে ২১ হাজার টাকা মূলা বিক্রি করেছি।

আবুল কাশেম বলেন, ক্ষেতে যা মূলা রয়েছে তা বিক্রি করে আরো প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকা পাব বলে আশা করি। এ অঞ্চলে আমার মত আর কেউ আগাম হাইব্রীড মূলার চাষ করেনি। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তি উদ্যোগে নিজের বুদ্ধিতে যা করেছি। কিন্তু কৃষি অফিসের কেউ কোন খবরও নেয়নি বলে তিনি জানান।

উখিয়া কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, জালিয়াপালং বাদামতলীতে আগাম মূলা চাষের কথা নিশ্চিত বলতে না পারলেও তিনি দাবী করেন উখিয়ার সর্বত্র প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে এ ধরণের আগাম মূলার চাষ হয়েছে। এতে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই