পাচারকারী পালালেও জব্দ হয়নি ১৬টি ফিশিং বোট

কক্সবাজারের উখিয়া উপকূলে সমূদ্র পথে মানবপাচার কাজে নিয়োজিত ১৬ ফিশিং বোট জব্দ হয়নি। মানবপাচারের সংশ্লিষ্টদের ধরতে ব্যাপক অভিযানের প্রেক্ষিতে পাচারকারীরা পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয় রয়েছে। মানবপাচার ও পরিবহনে ব্যবহৃত গডফাদারদের এসব ফিশিং বোট উখিয়ার বাদামতলী ঘাট, রেজুর মোহনা ও ইনানীতে নোঙ্গর করা আছে। স্থানীয় সচেতন লোকজন এসব ফিশিং বোট জব্দ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে উখিয়ার কথিত “সী পোর্ট খ্যাত রেজু নদীর বাদামতলী ঘাটে ১০-১২টি ফিশিং বোট নোঙ্গর করা অলস পড়ে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয় আবদুল জব্বার, স্কুল ছাত্র সায়েম সহ অনেকে জানালেও এসব ফিশিং বোট গুলোর প্রায় সব গুলো মানবপাচারে ব্যবহৃত হত। থাইল্যান্ড জঙ্গলে গণকবর উদ্ধার ও সাগরে অভিবাসীদের খোঁজের সংবাদে এঘাট দিয়ে মানবপাচার নেই বললেও চলে। নেই শত শত মালয়েশিয়াগামী অভিবাসী, দালাল ও তাদের লোকজনের পদচারণা। বোট গুলো নোঙ্গর করে পাচারকারীরা নিরাপদে গা ঢাকা দিয়েছে।

Ukhiya Pic-19-05-2015-1

স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশের সদস্য মোক্তার আহমদ সহ আরো কয়েক জন বলেন, মানবপাচারের টাকায় কেনা এসব বোট গুলো মাছ ধরতে স্বাভাবিক ভাবে ২৫-৩০ অর্শ্বশক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু বোটগুলো সাগরে দ্রুত চলার লক্ষ্যে ৫৫-৬০ অর্শ্বশক্তি সম্পন্ন ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। উখিয়া উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম বাবুল ও জালিয়াপালং ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শহীদুল্লাহ কায়সার চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাচারকারীরা না হয় পালিয়ে গেছে। কিন্তু তদের অপরাধের অন্যতম বাহন ফিশিং বোট গুলো এখনো জব্দ না করায় আমরা উদ্বিগ্ন।

এসব বোট গুলো দিয়ে মানবপাচারের পাশাপাশি সাগরে বিচরণকৃত মাছ শিকারী ফিশিং বোটে ডাকাতি, মিয়নামার থেকে ইয়াবা সহ অন্যান্য চোরাই পন্যপাচার কাজে নিয়োজিত থাকায় আমরা অবিলম্বে এসব ফিশিং বোট জব্দের দাবী জানাই। অনুসন্ধানে স্থানীয় ভাবে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত মানবপাচারকারী গডফাদার রোস্তম আলী মাঝির দুইটি, শামশুল আলম সোহাগের দুইটি, মুজিবুল হকের একটি, লালু মাঝির একটি, ছেইয়্যার একটি, রেজিয়া আক্তার ওরফে রেবি ম্যাডামের ২টি, ইনানীর অজিউল্লাহর একটি, ছানা উল্লাহর দুইটি, আবুল কালামের তিনটি, ফয়েজ আহমদের দুইটি, সহ ১৬টি ফিশিং বোট হরদম মানবপাচার, সাগরে জলদস্যুতা ও চোরাইপন্য পাচার করে আসছে।

এদের সকলের বিরুদ্ধে একাধিক মানবপাচার মামলা ও রয়েছে। উখিয়ার থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান বলেন, স্থানীয় লোকজন ও কমিউনিটি পুলিশের সহযোগিতা পুলিশ সার্বক্ষনিক সর্বত্র মানবপাচারকারীকে আটক করতে তৎপর রয়েছে। অভিযুক্ত মানবপাচারকারীদের ফিশিং বোট গুলো জব্দ করা বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নাই।



মন্তব্য চালু নেই