আইসিসি নিরপেক্ষ না থেকে, নিজেরাই ম্যাচ ফিক্সিং এ জড়িত!
ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৫ বাংলাদেশ বনাম ভারত কোয়াটার ফাইনালের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় আম্পায়ার ম্যাচ ফিক্সিং এর সাথে জড়িত বলে প্রতীয়মান হয় বলে মনে করেন বিশ্ব ও বাঙালি ক্রিকেট ভক্তদের পক্ষে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম-বোয়াফ।
বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ বনাম ভারত নকআউট পর্বে খেলাটির শেষে সংগঠনের সভাপতি ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্পূর্ণ খেলা বিচার বিশ্লেষণ করে অনুধাবন করা যায় আইসিসির নির্ধারিত আম্পায়ারদের একের পর এক বিতর্কিত একপক্ষীয় সিদ্ধান্ত দিয়ে খেলাটিকে উপভোগ্য আনন্দময় করা থেকে ক্রিকেট ভক্তদের হতাশ করেছে এবং আমরা নিজেরাও হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
তিনি আরও বলেন, নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতের ব্যাটসম্যানদের বেধে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ৪০তম ওভারের আম্পায়ারের বিতর্কিত এবং একপক্ষীয় সিদ্ধান্তে রোহিত শর্মা বেঁচে যাওয়ার পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মানিসকভােব কিছুটা ছিটকে পড়েন, নিজেদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্তেও হতবাক হয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেট অনুরাগী এবং এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ টাইগারদের মাঝেও।
বোয়াফ সভাপতি ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আইসিসির সমসাময়িক কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করলে বেড়িয়ে আসে বিশ্ব ক্রিকেট মোড়ল হিসেবে পরিচিত ভারতকে বিশেষ সুবিধা দেয়া যেমন- নির্ধারিত ভেন্যু, সময় পরিবর্তন ও ভারতকে মাঠে অনুশীলনের সুযোগ এবং সর্বপরি আম্পায়ারদের ভারতপ্রীতি সিদ্ধান্ত এসবই আইসিসি’র প্রতি বিশ্ব ক্রিকেট প্রেমীদের মনে সন্দেহের অবকাশ তৈরি হয়েছে যা বাঙালি জাতির মাঝে ক্ষোভ ও ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
ব্লগার আরও বলেন, আধুনিক ক্রিকেট বিশ্বে আইসিসি’র এই হঠকারিতা, টিভি আম্পায়ার থাকা সত্বেও মাঠ আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত একটি খেলার ভাগ্য নির্ণয়ক হলে আগামী বিশ্ব ক্রিকেট অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে এবং এতে নতুন দেশগুলো ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই কিন্তু বাংলাদেশের মত একটি উদীয়মান ক্রিকেট শক্তিকে ধ্বংস করার সকল ষড়যন্ত্রের হাত থেকে আইসিসিকে অগ্রনী ও নিরেপক্ষ ভূমিকা পালন করা আশু জরুরী বলে মনে করেন বিশ্ব ক্রিকেট ভক্ত ও টাইগারস ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্টি ফোরাম-বোয়াফ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে আইসিসি ও আম্পায়াদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণজাগরন মঞ্চের সংগঠক হাবিবুল্লাহ মিছবাহ, সহ-সভাপতি রাশিদা হক কনিকা, সহ-সভাপতি এড. ইয়াছিন করিম, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আজিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান শ্রাবন, শামীম এইচ চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব সহ ক্রিকেট অনুরাগীরা।
মন্তব্য চালু নেই