অর্থ আত্মসাৎ: বিটিসিএলের ৫ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়েই চার্জশিট

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল)পাঁচ কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জালিয়াতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৭ টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্ত শেষে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে চার্জশিটে আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে আইপাওয়ার কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মাকসুদুল লতিফ মিঠু এবং ওই প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় অংশীদার রাজটেক লিমিটেডের এমডি মো. হাসিবুল বাসার।

অন্যদিকে আসামির তালিকা থেকে যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বিটিসিএলের প্রাক্তন পরিচালক ও বর্তমান উপ প্রকল্প পরিচালক-২ মো. মাহফুজার রহমান, পরিচালক (পরিদর্শন) মো. মাহবুবুর রহমান ও উপপরিচালক (বৈদেশিক সংগ্রহ) আবদুল হালিম, প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত এমডি ও সদস্য (অর্থ) ড. আবু সাঈদ খান এবং টেলিটকের ডিজিএম ও বিটিসিএলের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রকৌশলী (আসিটি) এ কে এম আসাদুজ্জামানকে।

অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের মেসার্স আইপাওয়ার কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিটিসিএলের ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৭ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর রাজধানীর রমনা মডেল থানায় বিটিসিএলের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচারক এস এম সাহিদুর রহমান । প্রায় তিন বছর তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সুপারিশক্রমে কমিশন চার্জশিটের অনুমোদন দেয়।

এর আগে বিদেশ থেকে আসা কলের তথ্য ধারণ না করা, মুছে ফেলাসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিটিসিএলের ২০৫ কোটি টাকা রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর প্রাক্তন এমডি আবু সাঈদ খানসহ ১৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করেছিল দুদক।



মন্তব্য চালু নেই