অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য টিকফায় প্রভাব ফেলবে না

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার ও জিএসপি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে সোমবারের টিকফা সভায় ফলপ্রসু আলোচনা হবে। এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরো বলেছেন, আমরা ইতিমধ্যেই টিফকা প্রতিনিধি দলের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়েছি। টিকফার মুল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। রোববার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

এর আগে টিকফা ফোরামের একটি প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পাঁচ সদস্যের এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউএসটিআর-এর দক্ষিণ ও মধ্যএশিয়া বিষয়ক সহকারী মাইকেল ডিলানী।

প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আমার যা বলার ছিল  বলেছি। তারাও বলেছেন। টিকফা ফোরামের সঙ্গে এটি প্রথম বৈঠক। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু হবে।

উল্লেখ্য ২০০২ সালে টিকফা নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর টিকফা সই হয়। এবছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে টিকফা কার্যকর হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিএ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত মিনিস্ট্রিয়াল সভায় কোটা ও ডিউটি ফ্রি সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেটি গৃহীত হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কমফোর্টেবল নয়- অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্য টিকফা আলোচনায় প্রভাব ফেলবে না। পশ্চিমারা বাংলাদেশিদের রক্তমাখা জামা পরবে না বলে মার্কিন সিনেটর রবাট ম্যান্ডেজ যে বক্তব্য দিয়েছেন তাও অপ্রত্যাশিত। তিনি বাংলাদেশে আসেন নি। আর বাংলাদেশের কারখানার পরিবেশও দেখেননি।

তিনি আরো বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায়  অনেক কিছু শেখার আছে। এ ঘটনার পর আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এটা একটি দুর্ঘটনাই ছিল।

রানা প্লাজার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে বেশি প্রচার করা হয়েছে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে চীনে শিল্প দুর্ঘটনায়  এক লাখ ৪৭ হাজার ৩৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এটি আইএলও রিপোর্ট। ২০১২ সালে চীনে ৩৬ হাজার শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। ২০১২ সালের ৪ জুন ইকোনোমিষ্ট পত্রিকা লিখেছিল চীনে প্রতিবছর  গড়ে ২০০ শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা যায়। অথচ আমাদের একটি দুর্ঘটনা নিয়ে বেশি প্রচার পেয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহুর্তে জিএসপির মেয়াদ নেই। কংগ্রেসে এটা নবায়ন হবে। নবায়ন হলে জিএসপি পাওয়ার প্রশ্ন উঠবে। টিকফা ফোরামের প্রতিনিধি দলকে বলেছি জিএসপি ফিরে পাওয়ার ১৬ শর্ত আমরা পূরণ করেছি।
বাণিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে পোশাক শিল্পখাত  শান্ত। শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রয়েছে। গত এক বছরে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদেশিরা বলতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে।

 



মন্তব্য চালু নেই