অভিষেক মতোই বিশ্বকাপ ভাবনা তাসকিনের

ফর্সা ও সুঠামদেহের অধিকারী, দেখতে সিনেমার নায়ক মনে হবে যে কারও। কিন্তু না, তিনি সিনেমার নায়ক নয়। বাস্তবেই তিনি ক্রিকেট মাঠের নায়ক। হ্যাঁ, জাতীয় দলের ১৯ বছর বয়সী তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদের কথাই বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্য পেসারদের চেয়ে ব্যাতিক্রমীও বটে। বল হাতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠে গতির ঝড় তুলতে প্রস্তুত তিনি।

অভিষেকে ঝড় তুলে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। মাত্র ২৮ বলে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে হই চই ফেলে দিয়েছিলেন। অভিষেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং সারা দুনিয়ার পেসারদের চমকে দিয়েছিলো। সেই দিনের মতোই বিশ্বকাপে বিশ্বকে চমকে দিতে চান তাসকিন। শনিবার মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেছেন টাইগার পেসার।

জাতীয় দলের তরুণ এ পেসার তার বিশ্বকাপ ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘বিশ্বকাপে এমন কিছু করতে চাই যাতে আমি সবার মুখে মুখে থাকি। আমার ইচ্ছে আছে সেরা দশ বোলারের মধ্যে জায়গা করে নেয়ার এবং দেশের হয়ে ভালো কিছু করার।’

তাসকিনের ইচ্ছেটাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। কারণ গত দু’তিন বছরে নিজেকে যেভাবে গড়ে তুলেছেন তিনি, সে বিষয়েই তাসকিন বলেন, ‘ইনজুরি সমস্যা ছিল। তবে এখন আর নেই। ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এর মধ্যে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলেছি। কোনো সমস্যো হয়নি। ফিজিওর সঙ্গে ফিটনেস নিয়ে কথা বলেছি। সব মিলিয়ে আমি এখন শতভাগ প্রস্তুত।’

অস্ট্রেলিয়ার-নিউজিল্যান্ডের পেসবান্ধব উইকেটে তাসকিনের জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও কন্ডিশনের ওপর খুব একটা ভরসা করতে চান না এই তরুণ। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গতি বা বাউন্সের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ লাইন ঠিক রাখা এবং সঠিক জায়গায় বল করা। আমি মনে করি এতেই সফল হওয়া যাবে। বিগ ব্যাশ এবং ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজে তাই দেখেছি।’

২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তিনি। নিশ্চিতভাবে ওই অভিজ্ঞতাও তাসকিনের দারুণ সহায়ক হবে। অসন্ন আইসিসি বিশ্বকাপে সেই অভিজ্ঞতাও কাজে লাগাতে চান তিনি। ক্যারিয়ারে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মোট সাতটি উইকেট শিকার করেছেন জাতীয় দলের এ পেসার।



মন্তব্য চালু নেই