অবশেষে সাঁওতালদের ধান কাটা শুরু

হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের জমির ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ধান কাটা শুরু হয়। রংপুর চিনিকল কর্তৃপক্ষ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিততে মিলের শ্রমিক দিয়ে এই ধান কাটা হচ্ছে।
ধান কাটার সময় উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি- রাজস্ব) শফিকুল ইসলাম জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর সাঁওতালদের ধান কাটতে তাদের সঙ্গে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কয়েকবার কথা বলেন। কিন্তু তারা ধান কাটার কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে জমির ধান কাটার উপযোগী হওয়ায় মিলের শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। ধান কাটা শেষ হলে তালিকা তৈরি করে সাঁওতালদের ধান বুঝিয়ে দেয়া হবে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হান্নান জানান, শৃঙ্খলভাবে ধান কাটতে প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১ জুলাই সাঁওতালরা সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারের জমি দখল করে বসবাস শুরু করেন। ৬ নভেম্বর তাঁদের উচ্ছেদ করা হয়। সাঁওতালরা খামারের মোট ১ হাজার ৮৪২ একর জমির মধ্যে প্রায় ১৩৫ একর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেন, যার মধ্যে ৩০ একর জমির ধান পেকেছে। এগুলো কাটা হচ্ছে। ধান কাটা মেশিন দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় এক বিঘা জমির ধান কাটা যায়।
৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় রংপুর চিনিকলের জমিতে আখ কাটাতে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিরবিদ্ধ হয়েছেন নয়জন। গুলিবিদ্ধ হন চারজন। এই সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন সাঁওতাল নিহত হন।
ঘটনার ১১ দিন পর সাঁওতালদের মামলা নেয় পুলিশ। সাঁওতালদের পক্ষে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের স্বপন মুরমু বাদী হয়ে প্রায় ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে এই মামলা করেন।
মন্তব্য চালু নেই