অবশেষে ডিমলায় অনশনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি

হামিদা আক্তার , (নীলফামারী) : ২১ ফ্রেব্রুয়ারী মঙ্ঘরভার সকাল ১০.৩০ মিনিটে ডিমলায় আমরন অনশনকারী মুৃক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় সাংসদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম এর তাদের দাবী প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবং তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে অনশন কর্মসুচী প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালে অবস্থানকারী মুক্তিযোদ্ধারা অনশন প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ পক্ষ থেকে পাউরুটি কেক বিস্কুট ও পানীয় বোতল খাওয়ানো হয় অনশন কারী মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রকাশ, এর আগে নীলফামারী ডিমলায় ভারতীয় প্রশিক্ষন প্রাপ্ত প্রকৃত শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা (এফএফ) ভূঁয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ ও গেজেট বাতিলের দাবীতে শহীদ মিনার চত্তরে ২০ ফ্রেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় আমরন অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। দিন শেষে গভীর রাত ১২.১৫ মিনিটে না খেয়ে থাকা আমরন অনশনে অবস্থানকারী উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন কল্যাণ ট্রাষ্ট ন-৪১৩৩৯ এফএফ নং-১৪৫/৩৮ দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম ছুটে যান মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। অশশন ভাঙ্গার জন্য অনুরোধ রাখেন তাদের প্রতি। পরে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাকে তার সরকারী গাড়ীতে ডিমলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়ে ভর্তি করেন। সেই সাখে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে অসুস্থ্য মুক্তিযোদ্ধাকে নিবির পর্যবেক্ষনে রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর পরেই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মককর্তার পক্ষ থেকে ৩০টি কম্বল বিতরণ করেন অনশনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের মত প্রায় ২৪ ঘন্টা অতিক্রম করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। উলেলখ্য, এ আমরন অনশন প্রথম দিন ২০ ফ্রেব্রুয়ারী সকাল ১০টা থেকে শুরুর পূর্বেই ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আমরন অনশনে অংশগ্রহনকারী মুক্তিযোদ্ধারা একটি স্মারকলিপি দিয়ে অনশন শুরু করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিেিত বলা হয়- লক্ষ শহীদের আত্মদান আর দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রায় ৪৬ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। সে দিনের অকুতোভয়-দুরন্ত মুক্তিযোদ্ধারাও আজ বার্ধ্যক্যের দ্বারপ্র্রান্তে। দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ৭১’এর অস্ত্র হাতে মৃর্ত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলো। আজ তারা চায়না, যারা ১৯৭১ সালে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করেছিলো কিংবা যাদের বয়স সে সময়ে ১১/১২ বৎসর ছিলো তারা হটাৎ করে মুক্তিযোদ্ধা বনে গিয়ে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে সনদ উত্তোলন করে সরকারী বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছে ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে লজ্জাজনক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাার উল্লেখ করেন, কোন ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের সহিত সম্পৃক্ত না থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহন না করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাতারে এক হয়ে কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে না। এ ক্ষেত্রে লাল মুক্তিবার্তার অন্তভূক্ত ও গেজেট ভূক্ত ভূয়াঁ মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ ও গেজেট তালিকা বাদ দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধারা স্মারক লিপির মাধ্যমে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বিষটি পৌছানোর দাবী জানিয়ে বলেন, ভূয়াঁ মুক্তিযোদ্ধারা কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সম্পৃক্ত হয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিষয়টি খাটো করুক তাহা কোন প্রকৃত মুক্তিওযোদ্ধা আশা করেন না। আমরন অনশনে অংশগ্রহনকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ সংবাদকর্মীদের জানান, ভাতীয় তালিকার বাইরে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধার বিভিন্ন তালিকায় ঢুকে পড়েন। আসলে তারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলো না। একই ভাবে উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধাা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, আমরা অতি বিলম্বের এসব ভূয়াঁ মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ ও গেজেট বাতিল পূর্বক তালিকা প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন। তা না হলে আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) আবারও ৭১’এর মত জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।



মন্তব্য চালু নেই