অবশেষে আশুলিয়া থানার সেই অভিযুক্ত এএসআই ক্লোজড

টিপু সুলতান (রবিন), সাভার প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় এক যুবককে বিনাদোষে দুই দিন থানায় আটকে রাখার পর টাকা না পেয়ে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশের এক এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী বজলুর রহমান (৩০) পশ্চিম বাইপাইল এলাকার মো. ফজল হকের ছেলে। সে বগাবাড়ি এলাকার ভাই ভাই ক্যাবল অপারেটর নামের একটি ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ভুক্তভোগী ওই যুবকের পরিবার জানায়, গত ১৩ এপ্রিল সকালে আশুলিয়ার পশ্চিম বাইপাইল এলাকার নিজ বাড়ি সংলগ্ন চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন বজলুর রহমান। এসময় আশুলিয়া থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ইসলাম সিভিল পোশাকে তাকে আটক করে নিয়ে যান। পরে মুঠোফোনে তাদের নিকট বজলুরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা দাবী করেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। অভাব-অনটনের সংসারে অনেক কষ্টে ২৮হাজার টাকা সংগ্রহ করে এএসআই রাশেদুলের নিকট যান তারা। কিন্তু টাকার পরিমাণ কম দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। পরে দুই দিন আটকে রাখার পর গত ১৫ এপ্রিল বজলুরের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও বহনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তিনি। এঘটনার পর থেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হাজতে থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির বলেন, এর আগেও এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এসেছে। তাই এবারের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

অভিযুক্ত এএসআই’কে নিয়ে অতিসম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন :

টাকা না পেয়ে যুবককে মাদক মামলায় ফাঁসালো এএসআই



মন্তব্য চালু নেই