অবরোধে বিএনপি নেতারাই মাঠে থাকেনা

বিএনপি হরতাল-অবরোধ ডেকে নেতারাই মাঠে থাকেনা বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি অবরোধ ডেকে হরতাল ডেকে নেতারাই আজ মাঠে থাকেনা অথচ তারা বলছে, আন্দোলন হচ্ছে।’
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ৫ দিনব্যাপী ৪৪তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘তারা নির্বাচনে না এসে যে ভুল করেছে সে ভুলে তারা জ্বলে পুড়ে মরছে। তাদের জনসভায় লোক আসে না। কর্মীরা পর্যন্ত আসেন না। তাহলে জনসভা হবে কিভাবে? এখন তারা নির্দেশ জারি করেছে, যে নেতা জনসভায় না আসবে তার পদ থাকবে না।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যানের জন্য, রাজনীতি হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। যে রাজনৈতিক দল, যে রাজনৈতিক নেতা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের লেখাপড়া, বই বিতরণ, পরীক্ষা ও খেলাধুলায় বাঁধা সৃষ্টি করে তারা কখনও দেশের কল্যাণে আসতে পারেনা।
বর্তমান অব্স্থা দেশের জন্য কল্যাণকর নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গদি ফিরে পেতে একটি মহল বোমা মেরে, রেলের ফিসপ্লেট খুলে এবং বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে। এটি দেশের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না।’
শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে শুধু জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তি দিয়েই নয় তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ সাধন করার মধ্য দিয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের বছর শুরুর প্রথম দিনে বই তুলে দিয়ে আমরা রেকর্ড সৃষ্টি করেছি। বর্তমানে স্কুল পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও সমতা চলে আসবে ‘
এর আগে সকালে জাতীয় পতাকা, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া সমিতি আয়োজিত ৫দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ের ৪৪তম শীতকালীন খেলাধুলা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৫ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, যুব ও ক্রীড়া উপ-মন্ত্রী আরিফ খান জয়, শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বক্তব্য দেন।
এছাড়াও ৮শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। প্রতিয়োগিতায় সারাদেশের ২৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৭২জন প্রতিযোগী ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করছে।



মন্তব্য চালু নেই