অন্যের অধিকারও সংরক্ষণ করতে হবে, সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে বিকাশমান সম্প্রচার মাধ্যমকে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি অনুযায়ী পরিচালনা ও মান উন্নয়নের জন্য জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রথম কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই সম্প্রচার নীতিমালার বিরোধিতা করছেন। কিন্তু আমরা জানি সারা বিশ্বেই সম্প্রচার মাধ্যম একটি নীতিমালার মাধ্যমে চলছে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। একসময় সাংবাদিকদেরও দাবি ছিল একটি নীতিমালা। যারা এখন বিতর্ক তুলছেন তাদের জানা উচিত অধিকার পেতে হলে অন্যের অধিকারও সংরক্ষণ করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার চলচ্চিত্রে সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণ, প্রদর্শন এবং ভিডিও পাইরেসি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ডিজিটাল আধুনিক সার্টিফিকেশন প্রথা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিনেমা তৈরি ও সিনেমা হলগুলোতে তা যাতে চলতে পারে সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।

চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মরতুজা আহমেদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।



মন্তব্য চালু নেই