অনিশ্চয়তার মুখে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর

বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেশে ফিরেছেন ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের তিন কর্মকর্তা।
দেশে ফিরে ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় পত্রিকা টেলিগ্রাফকে নেতিবাচক কথাই বলেছেন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকসন। টেলিগ্রাফকে তিনি বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
ইসিবির নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল এই সপ্তাহে বোর্ডের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবেন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে অক্টোবরে ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ সফর করবে কী করবে না।

অবশ্য ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দলকে নানারকম নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেটা ডিকসনের কাছে কতটুকু নিশ্চিত মনে হয়েছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেল কিংবা স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নন ডিকসন। তিনি চিন্তিত বিমানবন্দর থেকে হোটেল, হোটেল থেকে মাঠ পর্যন্ত যাওয়ার নিরাপত্তা নিয়ে। তার মতে এশিয়ার জনবহুল শহরগুলোতে নিরাপত্তা দেওয়াটা একটু কঠিনই।

২০১১ বিশ্বকাপের সময় নিরাপত্তা উপেক্ষা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের টিম বাসে ঢিল ছুড়েছিল সমর্থকরা। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের টিম বাস মাঠ থেকে হোটেলে ফিরছিল। তাদের জন্য সবখানেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পুরো রাস্তায় পুলিশি পাহারা ছিল। কিন্তু রাস্তার পাশে দাঁড়ানো সমর্থকরা চার-পাঁচটি ঢিল ছুড়েছিল।’
পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল ইংল্যান্ডের সমর্থকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও চিন্তিত। খেলোয়াড়রা ভালো হোটেলে থাকবেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের সমর্থকরা তুলনামূলক কম মূল্যের হোটেলে থাকতে চাইবে। সেক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার সমস্যা হতে পারে।

অবশ্য ব্রিটিশ নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরার বিষয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছিল দূতাবাস। সেখান থেকে বলা হয়েছিল, ‘বিদেশিদের উপর বিশেষ করে পশ্চিমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যে সকল স্থানে পশ্চিমারা সচরাচর যায় সে স্থানগুলো সন্ত্রাসী হামলার তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে। সেসব স্থানে যাতায়াতের মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।’

অবশ্য বাংলাদেশে ইংল্যান্ডের সফর ১ জুলাই-ই সুতোয় ঝুলে যায়। যেদিন সন্ত্রাসীরা ২০ জন জিম্মিকে হত্যা করে। যার মধ্যে অধিকাংশ ছিল বিদেশি। দুজন পুলিশ অফিসারও ছিল।



মন্তব্য চালু নেই