সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘এইচএসসির গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ ছিল না। ঐ পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর মিডিয়ার এক বন্ধু শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে কথিত ফাঁস হওয়া প্রশ্ন নিয়ে যান। সেখানে মাত্র তিনটি প্রশ্ন মিল পাওয়া যায়। যে কেউ প্রশ্ন করলে এ ভাবে তিনটি প্রশ্ন মিলে যেতে পারে।’
সোমবার সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও টেকনিক্যাল ই-স্কুল এবং কলেজ হস্তান্তর চুক্তি’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা নিয়ে আরো প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী রেগে বলেন, ‘৬২ সাল বা আইয়ূব খানের সময় থেকে আমি শিক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। তাই আমি এখানে উড়ে এসে জুড়ে বসিনি। রসায়ণের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ছাপানো হয়েছে। সুতরাং এখানে ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। যদি বলেন, এটা কি করে সম্ভব হলো, তাহলে বলবো ১ জানুয়ারিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও যেভাবে বই তুলে দেয়া হয়েছে সেভাবে এটিও সম্ভব হয়েছে।’
চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই চুক্তি একটি বড় ঘটনা। এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘরে ঘেরে শিক্ষার আলো জ্বলবে এবং শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ও পার্বত্য তিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা।
চুক্তি অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, সুবিদ আলী ভূইয়া এমপি, ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী এমপি, শিক্ষা সচিব ড. মো. সাদিক প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই