পাসে ছাত্রীরা হলেও জিপিএ-৫ এ এগিয়ে ছাত্ররা
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/05/cf74261691782a977ca036bf5436a773-590ae981575a0.jpg)
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে ছাত্রীরা এগিয়ে। আর ছাত্ররা এগিয়ে আছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছাত্ররা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩ হাজার ৪৮৮ জন আর ছাত্রীরা পেয়েছে ৫১ হাজার ২৭৩ জিপিএ-৫। ছাত্রীদের চেয়ে ২ হাজার ২১৫ জন ছাত্র বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেছেন, ‘মোট আটটি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ১৯ হাজার ১০৫ জন ছাত্রী বেশি অংশ গ্রহণ করেছে এবং ২২ হাজার ৪৯৪ ছাত্রী বেশি পাস করেছে, যা ছাত্রের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। আর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীদের পাসের হার শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।’
পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় পাসের হারের সঙ্গে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।
পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার কারণ উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।’
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার জন।
এর আগে সকালে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসেনসহ আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।
শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে ফল জেনে নিচ্ছেন। নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে। মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
৫ থেকে ১১ মে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আগামী ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল দিয়ে ফল যাচাই করার আবেদন করা যাবে।
মন্তব্য চালু নেই