হাইকোর্টে লিটন, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

শিশুকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্ত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের আগাম জামিন চেয়ে করা আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি ভীষ্ম দেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে আদালত থেকে বের হলে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা তা জানা যায়নি।

আদালতে শুনানির সময় সাংসদ লিটনকে দুর্বল এবং ভীতু দেখাচ্ছিল। তিনি নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আদেশের পর তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন এবং বাইরে চলে আসেন। এসময় তার ব্যক্তিগত লোকেরা তাকে আদালত থেকে তার আইনজীবীর চেম্বারের দিকে নিয়ে যান।

উৎসুক জনতা, আইনজীবী এমনকী আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার ছবি তুলতে ভিড় করেন।

এর আগে সকালে লিটনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মকসেদুল ইসলাম আগাম জামিনের শুনানির জন্য গেলে বিচারপতি সাংসদ লিটনকে সঙ্গে নিয়ে বেলা ১টায় আবার আসার নির্দেশ দেন। এরপর বেলা ১টায় লিটন আদালত চত্বরে হাজির হন। এসময় তাকে সাদা শার্ট এবং কালো চশমা পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে।

রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে এ আবেদনটি করেন আইনজীবী এসএম আরিফুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনায় শিশু সৌরভের দু’পায়ে তিনটি গুলি করেন এমপি লিটন। পরে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

ওই ঘটনার পর তিনদিন ধরে এমপিকে বাড়িতে শুয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। এরপর তার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র আত্মীয়ের মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন। তিনদিন পর মামলা দায়েরের দিনও তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এরপরই তিনি উধাও হয়ে যান।

তারপর থেকেই লিটনকে ‘খুঁজে’ পাওয়া যাচ্ছে না। সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় তার বিলাসবহুল বাড়িটি এখন জনশূন্য। প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। বাড়ির উঠনে অলস পড়ে আছে তার সেই গাড়িটি।

এদিকে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায়ও দায়ের করা এক মামলায় এমপি লিটন আসামি।



মন্তব্য চালু নেই