রিমান্ড শেষে কারাগারে আসলাম চৌধুরী

রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

দুই দফায় রিমান্ড শেষে সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুল হক তাকে আদালতে হাজির করেন।

তবে এ দিন আসলাম চৌধুরীকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো আবেদন না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ মে তার সাত দিনের এবং ৮ জুন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৬ মে গুলশান থানায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর আসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসলাম চৌধুরী গত ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহিভূত রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যার কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ওই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আসামিরা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য দেশে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা দেশে অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

এদিকে, আগামী ১৫ জুন মতিঝিল থানার নাশকতার ৬(১)১৫ নম্বর মামলায় এবং লালবাগ থানার ৫(১)১৫ নম্বর নাশকতার মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

গত ১৫ মে বিকেলে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পর দিন তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই