মীর কাসেমের রায়ে উপস্থিত থাকাও প্রতিবাদ : অ্যাটর্নি জেনারেল

মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের রায় নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, আপনরা (আইনজীবীরা) আদালতে উপস্থিত থাকবেন, গত পরশু যেভাবে উপস্থিত ছিলেন। আপনাদের (আইনজীবী) উপস্থিতি একটি প্রতিবাদ।

সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘গত পরশু সবাই যেভাবে উপস্থিত হয়েছেন, আগামীকালও উপস্থিত থাকবেন। মীর কাসেম আলীর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করবেন। আপনাদের উপস্থিতিই হচ্ছে একটি প্রতিবাদ। এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় মীর কাসেম আলীর মামলার চূড়ান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন আছি আগামীকালের জন্য। মীর কাসেম আলীর মামলাটি ১ নম্বরে আছে। ফাঁসির রায় বহাল থাকলে আমরা সবাই আনন্দিত হবো, খুশি হবো।

ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদনের এ রায় দেওয়া হবে মঙ্গলবার সকালে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় রায়টি ১ নম্বরে রয়েছে রায়ের জন্য মামলাটি।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ হলে সরকারের সিদ্ধান্তে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে শুরু হবে দেশের এই শীর্ষ জামায়াত নেতার ফাঁসির রায় কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া।

তবে তিনি আইনের সর্বশেষ ধাপ মীর কাসেম আলী নিজের অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন জানাতে পারবেন। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন নাকচ হলে তাকে ফাঁসির দণ্ড কাযকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে গত ০৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।



মন্তব্য চালু নেই