পাবনার ঈশ্বরদীতে দারোগা হত্যাকান্ড রহস্য উৎঘাটন হয়নি

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুজাউল হত্যাকান্ডের রহস্য এখানো উৎঘাটন হয়নি। ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) আবু ওবায়েদ জানান, ঘটনা উৎঘাটন এবং জড়িতদের চিহ্নিত করণের জোরালো চেষ্টা চলছে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিমান কুমার দাস জানান, নিহত এএসআই সুজাউল একজন সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। আক্রোশ বশতঃ মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো চক্রের হত্যা কান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তবে যে চক্রই জড়িত থাকুক না কেন তাদের খুজে বের করার জোড় চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর পাকশীস্থ পাইলট পাড়ার বাসায় অবস্থান কালে একটি ফোন কল আসে। ফোন পেয়ে তাৎক্ষনিক সে বাসা থেকে বের হয়ে ফাঁড়িতে যায়। ফাঁড়ি থেকে পারমানবিক প্রকল্প মাঠের দিকে যাওয়ার সময় সে নিখোঁজ হয় এবং তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ফাঁড়ি ও বাসা থেকে খোঁজাখুজির পর তার সন্ধান না পেয়ে থানা পুলিশও খোঁজাখুজি শুরু করে। প্রায় সারা রাত ধরেই থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী পাকশীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করে। না পেয়ে তার দেশের বাড়ি বগুড়ায়ও খোঁজ নেওয়া হয়।

পরে ৫ সেপ্টেম্বর সকালে পাকশী রেলওয়ে ডিগ্রী কলেজের নিকটস্থ হলুদের বাগানে হাত-পা, চোখ-মুখ বাঁধা ও ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় সুজাউলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে টহল ও তল্লাশি জোড়দার করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই