নতুন ইসির প্রথম চ্যালেঞ্জ কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

নবগঠিত নুরুল হুদা কমিশনকে দায়িত্ব নিয়েই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। ফলে দায়িত্বের শুরুতেই বড় এই সিটির নির্বাচন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে নতুন ইসি। ইতিমধ্যে এ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ফলে দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ গ্রহণের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন। ৬ মার্চ তিন উপজেলা পরিষদের সাধারণ এবং ১৫টি উপজেলার বিভিন্ন পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ রয়েছে ২২ মার্চ। প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সুনামগঞ্জ-২ আসন শূন্য হয়েছে। ওই আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব নেয়ার আগেই প্রয়োজনীয় আইন-কানুন পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তারা।

এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন নতুন ইসি। অনেকে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগও করেছেন। ইতিমধ্যে ইসির সচিবালয়ের সঙ্গে নতুন সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আয়োজনে আইনগত কোনো বাধা নেই। নতুন কমিশন এসে তাদের মতো করে বড় এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করবে। তিনি বলেন, আমরা ইচ্ছা করলে কুমিল্লা সিটির তফসিল ঘোষণা করে যেতে পারতাম। কিন্তু আগেই তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন করা নতুন ইসির জন্য কঠিন হয়ে যেত। তাই এই সিটির নির্বাচনের কাজ তাদের জন্য রেখে দিয়েছি। আশা করি, তারা এসে সুন্দরভাবে এ নির্বাচন সম্পন্ন করবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিদায়ী কমিশন যা করে গেছে, তাতে কমিশনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন কমিশন আগের অবস্থানে ফিরে যেতে চাইলে তাকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। এতে শুরুতেই তাদের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

গত ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের সঙ্গে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি ছিল বিদায়ী কমিশনের। কিন্তু সীমানা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওই সময় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বাধা কেটে গেছে। তবে মেয়াদ শেষ হয়ে আসার কারণে রকিব কমিশন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেনি। এখন নতুন কমিশনকে দায়িত্ব নিয়েই এই সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পরই তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ ছাড়া নতুন কমিশনের সঙ্গে ইসি সচিবালয়ের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। নির্বাচন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তারা বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই