ধর্ম নিয়ে নোংরা কিছু লিখলে আমারও সেন্টিমেন্টে লাগে

কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার ধর্ম নিয়ে নোংরা কিছু লিখলে আমার সেন্টিমেন্টে লাগে, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এ ধরনের লেখা কিংবা কথা বলা যাবে না।’

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবনে নেদারল্যান্ডসে তিন দিনের সফরশেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ ধর্ম পালন করতে না চাইলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ধর্ম নিয়ে নোংরা বা বাজে মন্তব্য বিকৃত কাজ। যারা করে তারা বিকৃত মানসিকতার। অন্যের ধর্মীয় অুভূতিতে আঘাত না করাই মানবিক গুণ। তাই এটা আমাদের মেনে চলতে হবে। আমি সোজাসাপটা কথা বলি। আপনারা অন্যভাবে নেবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমি ধর্মভীরু। আমি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কোরান তেলাওয়াত না করে কোনো কাজ শুরু করি না। আমি সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু আমি আমার ধর্ম পালন করি। এটাই সেক্যুলারিজম।’

দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বনের বাঘে যারে খায় না, মনের বাঘে তারে খায়। আপনারা সাংবাদিক, আপনাদের অনেক সোর্স আছে। সন্ত্রাস দমনে আপনারা সহযোগিতা করুন।’

মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনকে হত্যা করা হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেকের মনে সাহস থাকতে হবে। যে কোনো অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। সবাই সচেতন হলে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব মোকাবিলা করতে পারব। নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার আমরা তা করে যাচ্ছি।’

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে হাসিনা বলেন, ‘একটা চক্রান্ত তো হচ্ছে। দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, প্রকাশকদের তালিকা করা হয়েছে। আপনারা তো জানেন, সব তালিকার শীর্ষে আমি আছি। যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে পা দিয়েছিলাম সেদিন থেকে চক্রান্ত চলছে। ৮১ সালের ১৭ এপ্রিল দেশে এসেছি। আমাকে বলা হয়েছিল এয়ারপোর্টেই আমাকে গুলি করা হবে। সব বাধা অতিক্রম করে চলে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মোটেই অনিরাপদ নয়। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের প্রতিটি শহরে প্রতিদিন কত মানুষ খুন হচ্ছে একবার খোঁজ নিয়ে দেখেন। সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেক নিরাপদ।’



মন্তব্য চালু নেই