আটক হতে পারেন ১২ সাংবাদিক, নজরদারিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল

জামায়াত-শিবিরের ফেসবুক পেজ বাঁশেরকেল্লাকে সহযোগিতার অভিযোগে অন্তত ১২জন সাংবাদিককে আটক করা হতে পারে। আর গোয়েন্দা নজরদারি চলছে বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের উপর।

বাাঁশেরকেল্লার এডিটোরিয়াল অ্যাডমিন এবং শিবিরের প্রচার সেলের সমন্বয়ক কে এম জিয়া উদ্দিন ফাহাদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অন্তত ১২ জন সাংবাদিকের নাম জানিয়েছেন, যারা তাদের তথ্য ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দিয়ে বাঁশের কেল্লাকে সহায়তা করে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের(ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম  জানিয়েছেন, ‘ওই ১২ জন সাংবাদিক ইলেট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন। ফাহাদ নাম জানানোর পর আমরা তা তদন্ত করে দেখেছি এবং ওই ১২ জন সাংবাদিক যে বাঁশেরকেল্লাকে তথ্য, ছবি ও ফুটেজ সরবরাহ করে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন,‘তারা আলাদা ইমেইল থেকে নির্ধারিত ইমেইলে দ্রুত খবর ও ছবি পাঠায়। এমননি তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সেখানে পাঠানোর আগে বাঁশেরকেল্লাকে তথ্য ও ছবি দেন।’

এজন্য এই ১২ জন সাংবাদিকের প্রত্যেকে গড়ে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পান। মাত্র একটি খবরের জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়ারও রেকর্ড আছে বলে জানান যুগ্ম কমিশনার।

তিনি বলেন, এছাড়া তাদের ফুলটাইম যে ৫০ জন বাঁশের কেল্লার সঙ্গে জড়িত আছেন তারা বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে আশ্রয় নিয়ে কাজ করেন। তাদের নিজস্ব কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টালও আছে। যাতে তাদের কেউ সন্দেহ করতে না পারে সেজন্য তারা এই কৌশলে কাজ করে। ডিবি জানায়, একারণে এখন অনলাইন নিউজ পোর্টালের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এবং বেশ কয়েকটি পোর্টালকে চিহ্নিতও করেছে ডিবি।

শুক্রবার ফাহাদ আটক হওয়ার ১২ মিনিটের মধ্যে বাঁশেরকেল্লা দাবি করে, তাদের কোন এডমিন আটক হয়নি। সরকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর জবাবে মনিরুল ইসলাম জানান, ‘এটা বাঁশেরকেল্লার একটি কৌশল। এই পোস্টটি যে দিয়েছে সেও আমাদের আওতার মধ্যেই আছে। দ্রুতই সে ধরা পড়বে।’

তিনি জানান, বাঁশেরকেল্লার একটি ব্লগার গ্রুপও আছে। যারা বাঁশেরকেল্লাসহ বিভিন্ন ব্লগে, বাঁশেরকেল্লার নির্দেশনা অনুযায়ী ব্লগ লেখে। তারা একটি ব্লগের জন্য দেড় থেকে দুই হাজার টাকা পায়। আর ২০১০ সালে মোট ৩০ জনকে তারা দেশের বাইরে থেকে আইটি প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়ে এসেছে বাঁশেরকেল্লা পরিচালনার জন্য। মাসে তাদের এই পেজটি পরিচালনার জন্য ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। যা জামায়াত-শিবিরই বহন করে বলে দাবি করেন মনিরুল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই