রিভিউর জন্য বলেছেন মীর কাশেম আলী : আইনজীবী

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শনিবার সকালে কারাগারে সাক্ষাত করেছেন তার আইনজীবী প্যানেলের সদস্যরা। এ সময় তিনি আইনজীবীদের রিভিউ করার পরামর্শ দেন।

মীর কাসেম আলী আইনজীবীদের জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করবেন তিনি।

পরে মীর কাসেম আলীর আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, মীর কাসেম আলী মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। এজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। রিভিউ শুনানিতে মীর কাসেম আলী খালাস পাবেন বলেও মনে করেন তিনি।

এর আগে, শনিবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার ছেলে ও আইনজীবীসহ ৫ জন। আইনজীবীরা হচ্ছেন মীর কাসেম পুত্র ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট নাজিব মোমেন, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মো. নুরুল্লাহ।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, মীর কাসেম আলীর সঙ্গে তার আইনজীবীরা সাক্ষাত করেছেন। তারা ৪০ মিনিট পর্যন্ত আসামির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মীর কাসেম আলীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগ গত ৬ জুন দুই শত ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আপিল বিভাগ থেকে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় মামলাটির বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এর ভিত্তিতে মীর কাসেম আলীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে এ পূর্ণাঙ্গ রায় কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়। পরে কারাগারে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও রায় পড়ে শোনানো হয়।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রায় অবগত হওয়ার পর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন মীর কাসেম আলী। রিভিউ দায়ের করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর শুনানিতে রায় বহালের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবে। তবে ফৌজদারী মামলায় রিভিউয়ে প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ কম বলে তিনি জানান।

গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেছিলো আপিল বিভাগ। রায়ে বলা হয়, আসামিপক্ষে আনা আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এর আগে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।



মন্তব্য চালু নেই