তুুহিনের দাফন সম্পন্ন : নেই মামলা, গ্রেফতার
গোপালগঞ্জে প্রেমের কারণে এবং জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইদের হাতে নিহত তুুহিন মোল্যার (ডাকনাম শাহীন) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে তুহিন হত্যাকাণ্ডের ৪০ ঘণ্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এমনকি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে তুুহিনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য নিজ বাড়ি সদর উপজেলার চর পাথালিয়া গ্রামে আনা হয়। তুহিনের লাশ বাড়ি পৌঁছানোতেই স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকাবাসী তুহিনের বাড়িতে এসে স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।
একই ঘটনায় মারাত্মক জখমের শিকার তুহিনের বাবা শওকত আকবর মোল্যা মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার এক হাত ও দুই পা স্থায়ীভাবে বাদ দিতে হতে পারে।
এদিকে এ ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পার হলেও গোপালগঞ্জ সদর থানায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এমনকি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা না হওয়া প্রসঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্যা জানান, লাশের ময়নাতদন্ত ও দাফন কাজে ব্যস্ত থাকায় তুহিনের পরিবারের সদস্যরা এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করতে পারেননি। তবে আজ সোমবারের মধ্যে মামলা হতে পারে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত। পরিকল্পনামতোই আসামিরা পালিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা গোপালগঞ্জের বাইরে কোথাও অবস্থান করছে। তবে তাদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া ছোট ছোট কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জেলার আশপাশেও অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ঈদের দিন শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের কারণে চর পাথালিয়া গ্রামের শওকত আকবর মোল্যা (৫০), ছেলে তুহিন মোল্যাকে (১৮) কুপিয়ে ও চোখ তুলে ফেলে মারাত্মকভাবে আহত করে লায়েক মোল্যা ও তার ছেলেরা। পরে আহতদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিন মারা যান।
একই গ্রামে ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর প্রাক্তন সহকারী সচিব সবুর মোল্যা (৭০) খুন হন।
মন্তব্য চালু নেই